প্রবাসীর মৃত্যু শ্বশুরবাড়িতে, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রবাসীর মৃত্যু শ্বশুরবাড়িতে, পরিবারের দাবি হত্যা
MostPlay

প্রবাসীর মৃত্যু শ্বশুরবাড়িতে, পরিবারের দাবি হত্যা যশোরের শার্শা উপজেলার শ্বশুর বাড়িতে মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে। মৃতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

সোমবার (২৬ জুলাই২০২১) রাত ৯টার দিকে নিহত মোঃ শরিফুল ইসলামের (৩৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে ছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলার সামটা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া। জানা গেছে,নিহত শরিফুল ইসলাম শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের হানেফ মোড়লের প্রবাশী ছেলে। তার শ্বশুর মোঃ আবুল হোসেন হোসনার বাড়ি একই জেলাতে অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রামে বলে জানা গেছে।

নিহত শরিফুলের স্ত্রী শিল্পী বেগমের দাবি, রোববার গভীর রাতের কোনো এক সময় তার স্বামী ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন এবং তিনি বলেন, আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তবে শরিফুলের বাবা হানেফ মোড়ল অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ছেলে বিদেশ থেকে বউয়ের কাছে টাকা পাঠাতো নিয়মিত। দেশে এসে পাঠানো টাকার হিসেব চাইলে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অশান্তি লেগে থাকতো বলে জানানো হয়েছে।

এবং শরিফুল বিদেশ যাওয়ার পর শিল্পী তার বাবার বাড়ির এলাকায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তখন। ওই টাকা হাতাতে এবং পরকীয়া পাকাপোক্ত করার জন্যই এই পরিকল্পিতভাবেই আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। নিহত শরিফুলের মা মোছাঃসামছুন্নাহার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন আর প্রলাপ বকছেন ছেলের শোকে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কালকে (রোববার) শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে আর আজকে কেনো এমন করবে ও আত্মহত্যা করতি পারে না।

ওরা বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। ফাঁসি চাই। নিহত শরিফুলের মামা আকবর আলী জানান, ‘আমার ভাগ্নে ১৭-১৮ বছর মালয়েশিয়ায় ছিল। গত বছরের আগস্ট মাসে সে দেশে ফিরেছে। করোনার কারণে আর যেতে পারেনি। ওখান থেকে বউয়ের কাছে টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণ পাঠায়। এসব নিয়ে সে বাপের বাড়ি চলে যায়। সে বউ আনার জন্যেই গেছিল।

আমরা সেখানে লাশ আনতে গেলে বাড়িতে কাউকে দেখতে পাইনি। তারা আমাদের দেখে সবাই পালিয়ে গেছে। এইদিকে অভয়নগর থানার তদন্তকর্মকর্তা মিলন কুমার মণ্ডল বলেছেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। এটি আত্মহত্যা না হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনই বলা সম্ভব না।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য আমরা জানতে জানতে পারবো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password