কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মর্মাহত বারাক ওবামা

কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মর্মাহত বারাক ওবামা
MostPlay

আফগানিস্তান  থেকে বিদেশি নাগরিক, সেনা, তাদের আফগান সহযোগীদের উদ্ধারের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় অত্যন্ত ‘মর্মাহত’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশদাতা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকে তালেবানের বিরুদ্ধে মিশনের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় আসা বারাক ওবামা আফগানিস্তানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করেছিলেন।                                                     ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির শুক্রবারের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী কাবুল বিমানবন্দরে হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন সেনাদেরকে বীর আখ্যা দিয়ে বারাক ওবামা আরও বলেছেন, ‘অন্যদের জীবন বাঁচাতে তারা বিপজ্জনক এক যুদ্ধে নিয়োজিত হয়েছে।’

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বারাক ওবামা বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারানো আমেরিকানদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দুঃখ করার চেয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার জন্য বেদনাদায়ক আর কিছুই হতে পারে না।’

যেসব মার্কিনি ও আফগান পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে তাদের জন্য শোকাহত জানিয়ে বারাক ওবামা আরও বলেন, ‘নিহত আফগানদের পরিবারের কথা চিন্তা করছি যাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং উন্নত জীবনের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক ছিলেন।’

কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে বিদেশি নাগরিকসহ আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ আবারও শুরু হয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে গতকালের জোড়া হামলায় আত্মঘাতী ১৩ মার্কিন সেনাসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের দেওয়া সাম্প্রতিক এক হিসাবমতে, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ জনের বেশি বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। আগামী ৩১ আগস্ট মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার কথা। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএস-কে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করে সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password