ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা : সেই অটোরিকশাচালকের আত্মসমর্পণ

ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা : সেই অটোরিকশাচালকের আত্মসমর্পণ

সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ খুনের মামলার প্রধান আসামি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাছনুর। এসময় তার সঙ্গে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। তবে বুধবার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।

হাছনুর সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, ঘটনার রাতেই (২০ ফেব্রুয়ারি) নোমান হাছনুর সিলেট ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। বাড়ি থেকে তার সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করে নিয়ে এসেছি।

তবে হাছনুর কোথায় লুকিয়ে ছিলেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি জানিয়ে ওসি বলেন, আমরা তার সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছি। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ব্যাপারে জানা যাবে।

তিনি বলেন, হাছনুর ঢাকার কাছাকাছি জায়গায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার খোঁজ পাই। রাতেই হাছনুরকে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ দেয়া হয়। বুধবার সকালে আত্মীয়দের মাধ্যমে তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয় মওদুদের। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর এ হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।

নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবী সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি সিলেট এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password