হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের মেহেরগাঁও গ্রামে মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় র‌্যাব সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মাদক কারবারিরা। এ ঘটনায় দুজন র‌্যাব সদস্যকে কুপিয়ে জখম করে তারা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে তোফাজ্জল হোসেন শাকিল নামে এক মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম মেহেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের আহত র‌্যাব সদস্য মাসুদুর রহমান, গাড়িচালক আপন বড়ুয়া এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি তোফাজ্জল ইসলাম শাকিলকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মাদক কারবারিদের হামলায় র‌্যাবের সোর্স লিটন মিয়া আহত হন। সে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাবের অভিযান দল গুলিবিদ্ধ তোফাজ্জল হোসেন শাকিল ও তার পিতা আক্তার হোসেনকে ১ শ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার ১২টার দিকে মেহেরপুর গ্রামের মাদক কারবারি আক্তার মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনার সময়ে আক্তার মিয়া ও তার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন শাকিলসহ ১০/১২ জন লোক দা, লাঠি নিয়ে র‌্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তাদের অস্ত্রের আঘাতে র‌্যাব সদস্য মাসুদুর রহমান, গাড়িচালক আপন বড়ুয়া আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্য মাসুদুর রহমান পিস্তল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মাদক কারবারি তোফাজ্জল ইসলাম শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় মাদক ও র‌্যাব অ্যাসল্ট ঘটনার মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মাধবপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান বলেন, তোফাজ্জল হোসেনের দুই উরুতে ও তলপেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।