ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পরও জোর পূর্বক অজ্ঞান করে এক প্রসূতিকে সিজার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। প্রসূতি রাণী বেগম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কয়ারগাছি গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গেল মঙ্গলবার রাতে রাণী বেগম নামে এক প্রসূতির প্রসাব বেদনা শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা তরিঘড়ি করে কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করে। ওই সময় উপস্থিত ডাক্তার রোকসানা পারভিন ইলোরা জানান, রোগীকে দ্রুত অপারেশন করতে হবে তা নাহলে রোগী ও তার সন্তানকে বাঁচানো যাবে না। এ সময় প্রসূতি পরিবারের সাথে অপারেশনের জন্য ১২ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই সিজারের আগেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
তারপরও জোরপূর্বক ডাক্তার ও ম্যানেজার মাসুদ হোসেন সিজার করতে নিয়ে যায়। সেসময় প্রসূতি অপারেশনে বাঁধা দিলে ম্যানেজার রোগীকে মারধর শুরু করে এবং বলে ‘তুই কি ডাক্তারের চেয়ে বেশি বুঝিস। বেশি কথা বললে চিরদিনের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেব’। এরপর জোরপূর্বক অজ্ঞান করে সিজার করে। প্রসূতির স্বামী আল আমিন জানান, অপয়োজনে স্ত্রীকে মারধর ও অপারেশন এবং অমানবিকভাবে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি এঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের অভিযুক্ত ডাক্তার ও ম্যানেজার মাসুদদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তবে ক্লিনিক মালিক ডাক্তারের স্বামী ফিরোজুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে জোরপূর্বক ও প্রসূতিকে মারধোরের ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, নরমল ডেলিভারির পরও প্রসূতির সমস্যা ছিল। তাই তাকে বাচানোর জন্যই অপারেশন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, 'অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখবো। দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন