নওগাঁর মান্দায় কিশোর শহীদ রাসেলের আত্মত্যাগের স্মরণে এবং জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক শহীদ, এক বৃক্ষ, স্লোগানে একটি ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কশব ইউনিয়নের ভোলাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী।
উদ্বোধনের পর শহীদ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শহীদ রাসেলের বাবা মো. পিন্টু রহমান বলেন, আমার ছেলে ছাত্রআন্দোলনে শহীদ হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ মান্দা উপজেলার ইউএনও আমার ছেলের স্মরণে একটি গাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য আমি ইউএনও মহোদয় এবং সরকারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের কিশোর রাসেল শহীদ হয়েছেন এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি আমাদের হৃদয়ে অম্লান। তাঁর মতো সাহসী আত্মত্যাগীদের স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং আগামী প্রজন্মকে তাঁদের আত্মদানের অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই কর্মসূচির আওতায় শোভাবর্ধনকারী গাছ রোপণ করা হচ্ছে, যার প্রতিটি গাছের সঙ্গে থাকবে একটি স্মৃতিফলক ও একটি কিউআর কোড। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট শহীদের জীবনী ও অবদানের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এই উদ্যোগ শুধু গাছ রোপণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এটি একটি জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ, যা আমাদের অতীতের গৌরবগাথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলার পরিবেশ ও বন কর্মকর্তা দেবাশীষ রায়, মান্দা উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা কামরুল আরেফিন সিদ্দিক, শহীদ রাসেলের বাবা মো. পিন্টু রহমান, ভোলাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মো. জুয়েল প্রমুখ। এ কর্মসূচি অনুষ্ঠান শেষে ভোলাগাড়ী প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে একটি করে গাছ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাল সময়ে নারায়ণগঞ্জের টিডিসি এলাকায় চলমান সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ১৫ বছরের কিশোর রাসেল। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গত ২২ জুলাই ২০২৪ তিনি শহীদ হন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন