শীত এলে বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায় চিতই পিঠা

শীত এলে বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায় চিতই পিঠা
MostPlay

নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে আতোয়ারের পিঠার দোকান। সেখানে সারা বছরই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করেন তিনি। তবে শীত এলেই তার বেচাবিক্রি বেড়ে যায়।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আতোয়ারের দোকানে গিয়ে দেখা গেলো তাকে পিঠা বিক্রিতে সহযোগিতা করছেন দুজন। ব্যস্ততায় কথা বলার ফুসরত পাচ্ছেন না আতোয়ার। আতোয়ারের সহকারীদের মধ্যে একজনের নাম বিপ্লব। তিনি জানালেন, প্রতিদিন তাদের দোকানে ৫০ কেজি চালের গুঁড়ার চিতই পিঠা বিক্রি হয়। তবে পিস হিসেবে ঠিক কত পিস পিঠা দিনে বিক্রি হয় সে হিসাব তাদের কাছে নেই। দিনে কত টাকার পিঠা বিক্রি হয় সে বিষয়টিও খোলাসা করতে চাইলেন না তিনি।

বছরের অন্যসময় প্রতিদিন কেমন বেচাবিক্রি হয় জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, ‘অন্যসময় প্রতিদিন ২০ কেজির মতো চালের গুঁড়ার চিতই বিক্রি হয়। তবে শীত এলে বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায়। নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন জাহিদুল হক। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সন্ধ্যায় আতোয়ারের দোকানে পিঠা খেতে এসেছেন তিনি।

জাহিদুল হক বলেন, ‘এখানে মাঝেমধ্যেই পিঠা খেতে আসি। শহরে যারা থাকেন তাদের অনেকেই বাড়িতে পিঠা তৈরির ঝামেলা করতে চান না। তাই সড়কের পাশের এ দোকানগুলোতেই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে হয়। আমি কয়েকটা পিঠা খেলাম আর পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আতোয়ারের পাশের দোকানেই কালাই রুটি বিক্রি করেন এক নারী। তিনিও তখন রুটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীত এলে তার দোকানেও বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এখন তার প্রতিদিন ২০ কেজি চালের গুঁড়ার রুটি বিক্রি হয়। তবে অন্যসময় এর অর্ধেকও বেচাবিক্রি হয় না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password