যৌতুক না পেয়ে ৮ মাসের সন্তানকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

যৌতুক না পেয়ে ৮ মাসের সন্তানকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

৮ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে উল্টো করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো বাবা। শুধু তাই নয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মারধরের এক পর্যায়ে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যারও চেষ্টা করে পাষণ্ড বাবা। যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রীর সাথে ঝগড়া। এরই এক পর্যায়ে প্রথম পক্ষের শিশু সন্তানের সাথে এমন আচরণ করে বাবা মামুন। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে আট মাসের শিশু সন্তানকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত বাবা মামুন শেখকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার মামুনকে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় মামুনের প্রথম স্ত্রী কুলসুম বেগম গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাদী হয়ে স্বামীসহ সতীনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, লোহাগড়ার রঘুনাথপুর গ্রামের মামুন শেখ তার প্রথম স্ত্রী কুলসুম বেগমের অমতে মাফুজা আক্তার সাথীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

দ্বিতীয় বিয়ের পর মামুন তার প্রথম স্ত্রী কুলসুমসহ তিন সন্তানকে ভরণ-পোষণ না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে কুলসুমকে স্বামী মামুন লাঠি দিয়ে বেদম মারধর এবং সতীন মাফুজা আক্তার সাথী গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় কুলসুম বেগমের আট মাসের শিশু সন্তান আল হাবিবকে ঘর থেকে তুলে আম গাছের ডালে মাথা নিচের দিকে দিয়ে পায়ে রশি বেধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।

কুলসুম বেগম ও তার শাশুড়িসহ প্রতিবেশিরা শিশু হাবিবকে রক্ষা করতে গেলে মামুন শেখ তাদের মারপিটসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত বাবা মামুন শেখকে গ্রেফতার করেছে। কুলসুম বেগমের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সবাই অভিযুক্ত মামুন শেখের কঠিন শাস্তি দাবি করেন। লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, মামুন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password