রমজান মাসে তেমন একটা কাজ থাকে না। আবার কাজ শুরু করলে শেষ হয় না। তার উপর দেশে চলছে লকডাউন। তাই সারাদিন বাসাতেই কাটানো বাঞ্ছনীয়। রোজার দিনগুলোতে কাজ না করলে অনেক বিষণ্ণ লাগে। আর তাই বিষণ্ণতা কাটাতে রোজায় করতে পারেন এই দশটি কাজ।
১. মন থেকে দৃঢ়ভাবে দোয়া করুন:
দিনে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য নিজের ফোন, ল্যাপটপ, অথবা এমন যে কোনো কিছু যা আপনাকে মনোযোগ যোগাতে বাধা দিতে পারে সে সকল জিনিস বন্ধ করুন। তারপরে, চোখ বন্ধ করে আল্লার কাছে দু'হাত তুলে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দোয়া করুন। দেখবেন অনেকটা তৃপ্তি ও শান্তি পাবেন।
২. নিয়মের মাঝে থাকুন:
রোজায় সেহরি করতে ভোর রাতে উঠতে হয়। এটা একটা নতুন নিয়ম হয়ে যায়। তাই এই নিয়মের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হলে তারাতারি ঘুমিয়ে পরার অভ্যাস তৈরি করুন। এশার নামাজের পরে পরেই ঘুমিয়ে পরা ভালো।
৩. বুদ্ধিমানের মতো সেহরি করুন:
সেহরিতে যা যা খাবেন তা রাতেই টেবিলে সাজিয়ে রেখে দিন। তাহলে ভোর রাতে উঠে আর তাড়াহুড়ো হবে না। কাজ অনেক বেশি গোছানো থাকবে।
৪. রান্নার কাজ কারো একার উপর চাপিয়ে দেবেন না:
রোজা রেখে সারাদিন আরামে বসে থেকে, বাড়ির একমাত্র ব্যক্তই একা একা সব রান্না করবেন এমনটা করবেন না। তাকে সাহায্য করুন। রান্না করতে না পারলেও অন্তত রান্নাঘরের অন্যান্য কাজে তাকে সহায়তা করুন।
৫. ঘরকে সুন্দর করে সাজান:
এই রমজানে বসে না থেকে নিজের ঘরকেই একটা নতুন লুক দিন। নিজের হাতে বানানো নানা জিনিস দিয়ে সাজাতে পারেন আবার ঘর সাজানোর জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেশনের জিনিস পাওয়া যায়, চাইলে তাদের দিয়েও বদলে দিতে পারেন ঘরের পুরনো সাজ।
৬. রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করুন:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন আর কেউ একা নয়। চাইলেই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছানো যায়। তাই রোজায় নিজেকে একা না ভেবে নিজের ফেসবুকে, ইন্সটাগ্রামে, মেইলে, অথবা টুইটারে রমজানের শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করুন।
৭. দোয়ার একটা লিস্ট তৈরি করুন:
পবিত্র এ মাসে চলতে ফিরতে বিভিন্ন দোয়া পড়তে হয়। বিশেষ করে রোজা ভাঙার সময়। কিন্তু কখন কোন দোয়া পড়তে হবে তা সবসময় মনে থাকে না। তাই কখন কোন দোয়াটি পড়তে হবে তার একটা লিস্ট অথবা তালিকা তৈরি করুন।
৮. নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করুন:
নিজের হাতে একটি ইলাস্টিক ব্যান্ড পরে থাকুন। এমন কোনো একটা বাজে অভ্যাস যেটা ছাড়তে চেয়েও ছাড়তে পারছেন না, করার আগে এই ব্যান্ডটি টেনে দেবেন। তাহলে দেখবেন কয়েকবার এমন হওয়ার পরে আর করবেন না। ধীরে ধীরে সে অভ্যাস ছুটে যাবে।
৯. ক্ষমা করে দিন:
অনেক দিন ধরে কারো প্রতি রাগ, ক্ষোভ জমে থাকলে এই রমজান মাসে তাকে ক্ষমা করে দিন। এতে করে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে।
১০. কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না:
অনেকে কাজ ফেলে রাখেন পরে করবো ভেবে। কিন্তু পরে সে কাজ বোঝা মনে হয়। তাই বেশিরভাগ সময় করা হয় না। আর হলেও অনেক কষ্ট হয় করতে। তাই যখন যে কাজ শেষ করার কথা তখনই তা শেষ করার চেষ্টা করুন। ভুলেও কাজ ফেলে রাখবেন না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন