সবাইকে কি মাস্ক পরতে হবে বাইরে বের হলেই

সবাইকে কি মাস্ক পরতে হবে বাইরে বের হলেই

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই বিশেষ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশে–বিদেশে উদ্বেগ বাড়ছে। গতকাল বাংলাদেশেও কোভিড-19 রোগে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর রাজধানীজুড়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াশ সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে।

ফার্মেসি ও দোকানগুলোতে যদিও পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু তার দাম ধরা হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত এই পরিস্থিতিতে মাস্কের চাহিদা আকাশচুম্বি। বেশি দামেও মিলছে না মাস্ক। বাইরে বের হলে প্রত্যেকেরই মাস্ক পরতে হবে কি না-এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মাস্ক ঢালাওভাবে যেটা আমরা রাস্তাঘাটে ব্যবহার করছি এটার কিন্তু দরকার নেই। ‍যিনি আক্রান্ত উনি ব্যবহার করবেন। তবে একই মাস্ক একবার ব্যবহার করে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্যবহারের পর এক জায়গায় রেখে দিয়ে আবার ব্যবহার করবেন এমন যেন না হয়।’

‘আমরা যে মাস্ক পরে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াই এর কিন্তু দরকার নেই। এতে খামখা খালি দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর একটা কথা হলো, কেউ আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দোকানে-দোকানে ভিড় করে একটার দাম ১০ গুণ বেড়ে যাচ্ছে, এটা কিন্তু পরিহার করাই ভালো।’

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘অনেকের মধ্যে ভয় যে আক্রান্ত হলেই বুঝি মারা যাবে, আসলে কিন্তু তা না। এতে আক্রান্ত হলে মেজরিটি রোগী ভালো হয়ে যাবে। ঘরে বসে থাকলেও ভালো হয়ে যাবে, সাধারণ চিকিৎসায়ও ভালো হয়ে যাবে। ভয়ের কোনো কারণই নেই। সুতরাং আমি আবারও সবাইকে বলছি আপনারা ভীত হবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। তবে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। এটা কিন্তু খুব জরুরি।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এটা যেহেতু ছোঁয়াচে ভাইরাস। এটা কিন্তু একটা এলাকাতে পাওয়া যাচ্ছে। এটি ফলোআপ করা হচ্ছে। প্রশাসন কিন্তু সর্তক। প্রয়োজনে যদি দরকার মনে করে তাহলে স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ রাখতে হবে কিছু দিনের জন্য। আশেপাশে যদি কোনো বাজার থাকে সেগুলো কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা লাগতে পারে, প্রয়োজন হতে পারে। সে ব্যাপারে সতর্কতামূলকভাবে সবাই পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমরা সবাই অবজার্ভ করছি, প্রয়োজনে বন্ধ করা লাগতে পারে। শুধু তাই না জনসমাগম, সভা-সমাবেশ এগুলো বন্ধের দরকার পড়তে পারে। আপাতত কিন্তু এখনো এত ব্যাপকহারে ছড়ায় নাই।’

‘যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা কিন্তু বাইরে থেকে আসছে। ইতালি থেকে আসছে এবং রোগী কিন্তু ভালো আছে। আমরা তাদের ভর্তি করে রাখছি, দেখা হচ্ছে। আমরা খালি চেষ্টা করছি এটা যেন ছড়িয়ে না পড়ে। এটাই এখন আমাদের জন্য জরুরি হয়ে গেছে’ আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password