প্রস্তুত রয়েছে দুদক খালেদার জামিন আবেদন ঠেকাতে

প্রস্তুত রয়েছে দুদক খালেদার জামিন আবেদন ঠেকাতে

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদন ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।খালেদার জামিন আবেদনের কপি হাতে পাওয়ার পর-পরই প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা বলেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।খুরশীদ আলম খান  বিডিটাইপকে বলেন, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার একটি আবেদন পেয়েছি। তার পক্ষে আবেদন করেছেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। আবেদনের ২৪ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বরের পরে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।

অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি চলতে পারেন না। এমনকি অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি খাবার এবং ওষুধও নিতে পারেন না। সুতরাং তার বিদেশে, তথা যুক্তরাজ্যের মতো দেশে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট/থেরাপি (বায়োলজিক এজেন্ট) দরকার।তিনি আরও বলেন, আইনগতভাবে দুদক কাউকে ছাড় দেবে না। সে যেই হোক। অতীতেও দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। আমরা জামিন আবেদনটি পেয়ে পর্যালোচনা করেছি। আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি।এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তবে আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) যদি সম্মতি দেন তাহলে বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়।পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনও আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password