পঞ্চগড় সদরে আ.লীগের দুই নেতা আটকের জেরে মহাসড়ক অবরোধ

পঞ্চগড় সদরে আ.লীগের দুই নেতা আটকের জেরে মহাসড়ক অবরোধ

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটকের জেরে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে আটক দুই নেতাকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার বিকেলে হেলিপ্যাড-ঝাকুয়াকালী এলাকার একটি বাঁশঝাড়ে কিছু লোক জুয়া খেলছেন, এমন  ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়ারিকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তাদের ছড়িয়ে নিতে সুপারিশ করতে যান। এ সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাগ্‌বিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে তাঁদেরও আটক করে কার্যালয়ে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এতে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম  বলেন, ‘জুয়া খেলার অপরাধে সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। এ সময় তাঁদের স্বজনদের অনুরোধে আমরা সেখানে গিয়ে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। এতে ডিবি পুলিশ আমাদের ওপর খেপে গিয়ে বুকে পিস্তল তাক করে এবং হাতকড়া পরিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ করে এবং সড়ক অবরোধ করে।’

এদিকে আটক ওই সাত জুয়াড়িকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমা প্রত্যেককে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড  ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, জুয়ারিদের আটক করার পর ওই দুই ব্যক্তি সুপারিশ করতে এসে ডিবির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। এ জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। পিস্তল তাক করাসহ খারাপ ব্যবহারের যে কথা তাঁরা বলছেন সেটি ভিত্তিহীন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password