থানকুনি পাতার যত ওষুধি গুণ

থানকুনি পাতার যত ওষুধি গুণ

থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়। থানকুনি আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। থানকুনি পাতা দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। চিকিৎসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। খাদ্য উপায়ে এর সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে থানকুনি জুড়ি নেই। ঔষধি গুণসম্পন্ন থানকুনি পাতা খেতে পারেন রস করে অথবা বেটেও। তরকারিতে কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন। চাইলে চায়ের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন এটি। নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে দূরে থাকতে পারবেন বিভিন্ন রোগ থেকে।

হজম শক্তি
হজম শক্তি বাড়াতে পারে থানকুনি পাতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।

অ্যাসিডিটি
পেটের সমস্যা লেগেই থাকে? নিয়মিত থানকুনি পাতা খান, দূর হবে পেটের সমস্যা। এছাড়া অ্যাসিডিটি দূর করতেও জুড়ি নেই থানকুনি পাতার। দুধের সঙ্গে মিসরি ও থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।

পেটের সমস্যা
আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর পেটের পিড়া, আমাশয়য়, আলসার, বাতের বাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটির ব্যাবহার রয়েছে।

কাশি ও ঠাণ্ডা
কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে ও রক্তে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।

ভিটামিন সি যুক্ত
ভিটামিন সি যুক্ত থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড, বেটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।

বলিরেখা
ত্বকের বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থানকুনি পাতা। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখা পড়ে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password