ব্যাংকেও এতো টাকা নেই, রাতভর দুটি মেশিনে গুণেও শেষ হয়নি!

ব্যাংকেও এতো টাকা নেই, রাতভর দুটি মেশিনে গুণেও শেষ হয়নি!
MostPlay

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। অভিযানে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর জব্দ করেছেন র্যাব-৩ এর সদস্যরা। রাতভর দুটি মেশিনে টাকা গুণেও এখনও শেষ করতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তারা। এখনও চলছে গণনা।


সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে পুরান ঢাকার লালমোহন স্ট্রিটের ওই ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফয়জুল ইসলাম বলেন, নিচতলার ওই বাসায় কেউ থাকত না। বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা ছিল সবকিছু। এনু-রুপনের দুই ডজন বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এ বাসার সন্ধান পাই।


তিনি বলেন, অভিযানে ওই বাড়িতে টাকা ভর্তি পাঁচটি সিন্ধুক পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সিন্দুকে পাওয়া নগদ টাকা গোণার কাজ এখন চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে টাকার অংক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকাও হতে পারে। টাকা গোণার জন্য মেশিন আনা হয়েছে।
ওই বাড়িতে বেশ কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, যেগুলোতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সিল লাগানো ছিল বলে ফয়জুল ইসলাম জানান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, র্যাবের অভিযান এখনো চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ফাইল ছবি
র্যাবের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল।
ওই ঘটনার পর মোট সাতটি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
বেশ কিছুদিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন এনু-রুপন দুই ভাই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password