মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম করেন দোকানি

মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম করেন দোকানি
MostPlay

কামের তাড়নায় কতটা নৃশংস হতে পারে মানুষ, তার প্রমাণ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই সাক্ষী বহন করল মুম্বইও। মহিলা ক্রেতাকে খুন করে শবের সঙ্গেই সঙ্গম করল মুম্বইয়ের এক দোকানি। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের নালাসোপাড়ায়। ওই ব্যক্তির একটি খেলনার দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৬ জুন ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে।

জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুন ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা মুদিখানার জিনিসপত্র কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখনই তিনি ছেলের জন্য খেলনা কিনতে ওই ব্যক্তির দোকানে যান। এরপর থেকেই ভদ্রমহিলা নিখোঁজ ছিলেন। মহিলার স্বামী তুলিং পুলিশ স্টেশনে একটি মিসিং ডাইরি করেন।

ঘটনার দুদিন পর ২৮ জুন মুম্বইয়ের চন্দন চকের কাছে একটি পিক ভ্যানের মধ্যে থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই ধরা পড়ে সেই ভয়ংকর ঘটনা। মহিলার সঙ্গে হত্যার আগে ও পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। অটোপসি রিপোর্ট হাতে নিয়ে এরপর তদন্ত শুরু করে পালঘর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোটা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তদন্তে নেমে মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়া পিক আপ ভ্যানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি ছিল, বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি চন্দন চকে গাড়িটি পার্ক করে রেখেছিলেন।

এরপরই পুলিশের কাছে খবর আসে, ২৬ জুন এক দোকানির সঙ্গে খেলনার দরদাম নিয়ে ওই মহিলার ঝগড়া বেধেছিল। সেই সময়ই দোকানি ওই মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে দোকানের পিছনের একটি ঘরে নিয়ে যান। রীতিমতো মারধর করে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এরপর খুন করেও মহিলার সঙ্গে সঙ্গম করেন ওই দোকানি। গোটা রাত মৃতদেহের সঙ্গেই ছিলেন অভিযুক্ত। মহিলার দেহ একটি কালো ত্রিপলে মুড়ে রেখে আসেন ওই পিক আপ ভ্যানে। দোকানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মুম্বইয়ের এই ঘটনার কথা শুনে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে, হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার সেই ঘটনার কথা। গত বছর নভেম্বর মাসে ওই পশু চিকিৎসকের বাইকের টায়ার পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। এরপরই একটি কালভার্টের নিচে তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করে ৪ আসামি।

সূত্রের মতে, কোল্ড ড্রিঙ্কে মদ মিশিয়ে জোর করে পান করানো হয়েছিল ওই তরুণীকে। ধর্ষণ করে খুনের পর দেহ পোড়াতে তাঁর স্কুটিরই জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর অবশ্য পালানোর চেষ্টা করলে সেই ধর্ষণকাণ্ডের জায়গার কাছেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। মুম্বইয়ের ঘটনার ক্ষেত্রেও অভিযুক্তের এমনই শাস্তির দাবি করেছেন অনেকে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password