যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা

যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা
MostPlay

যুক্তরাজ্যে মিউটেটেড অর্থাৎ নতুন ধরনের করোনা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্যে এই নতুন রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে সোমবার পর্যন্ত ৪০টি দেশ বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। জারি করেছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও। খবর বিবিসির।

নতুন ধরনের এই করোনা খুবই সংক্রামক। তবে এতে মৃত্যু হার বেশি কিনা সেটার পক্ষে এখনো কোনো প্রমাণ মেলেনি।

যেহেতু ৪০টি দেশে যুক্তরাজ্যের ওপর এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেহেতু বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) হু’র জরুরি স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন নতুন ধরনের করোনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা মহামারিরই একটি অংশ। এটি অনিয়ন্ত্রণযোগ্য কিছু নয়। তারা এটি নিয়ে আরো বিস্তর গবেষণা শুরু করেছেন।

যুক্তরাজ্যের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও অনেক দেশ বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণকারীদের বিভিন্ন দেশে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও করোনাভাইরাসের নতুন এক প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। সেটার সঙ্গে অবশ্য যুক্তরাজ্যের নতুন ভাইরাসের কোনো মিল নেই।

এমতবস্থায় নতুন রূপ নেওয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গেল কয়েকদিনে যুক্তরাজ্যের কমপক্ষে ৬০টি স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন উক্ত স্থানগুলোকে করোনার বিস্তার দ্রুত ঘটছে।

মূলত ভাইরাস তার রূপ বদল করে বিভিন্ন কারণে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— এক মানবদেহ থেকে অন্য মানবদেহে দ্রুত ছড়াতে, দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে এবং ওষুধ প্রয়োগের মধ্যেও টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে। কখনো কখনো ভাইরাস রূপ বদল করে হয়ে ওঠে আরো বেশি শক্তিশালী। কখনো কখনো তাদের এই রূপ বদল হয় অর্থহীন।

কিন্তু যুক্তরাজ্যে দেখা দেওয়া করোনার নতুন রূপ অর্থহীন নয়। যেহেতু সেখানে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এটি ঠিক কতোটা প্রাণঘাতী সেটা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এ সম্পর্কে জানতে হয়তো আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password