ছোট্ট শিশুটির নাম আরাফাত ইসলাম। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দাড়েরপাড়া গ্রামে বাড়ি তার। কিছু দিন আগে নিখোঁজ হয় শিশু আরাফাত ইসলাম। কেউ জানতো না যে আরাফাত কোথায় আছে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! সোমবার শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেড় বছর বয়সী শিশু আরাফাতের মরদেহ প্রতিবেশী ছপের মালের রান্নাঘরে পুঁতে রাখা ছিল।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দাড়েরপাড়া গ্রামের ছপের মালের রান্নাঘর থেকে আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আরাফাত ইসলাম একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। সে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, কুকুর মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি মরদেহের কিছু অংশ তুলে ফেলে। এতে ছপের মালের রান্নাঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম তড়িঘড়ি করে মরদেহ পুনরায় মাটি খুড়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় কোহিনুর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে এবং কোহিনুরকে আটক করে। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার সকালে শিশুটিকে অপহরণ শেষে হত্যা করে রান্নাঘরের মাটি খুড়ে পুঁতে রাখে কোহিনুর ও তার স্বামী ছপের মাল।
ওসি নাসির উদ্দিন আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর কোহিনুর বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন