ইউরোপের ১২টি ক্লাব উয়েফাকে পাশ কাটিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিল।তবে উয়েফা ও সমর্থকদের বিরোধিতার মুখে সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তাই ক্লাবগুলোকে ভুল স্বীকার করে নতুন একটি চুক্তিপত্র ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে হচ্ছে।

এরই মধ্যে  ৯টি ক্লাব তাদের ভুল স্বীকার করে উয়েফার তৈরি করা চুক্তিপত্র ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এখনো করেনি ৩টি ক্লাব। সেগুলো হলো- বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস।

গেলো শুক্রবার(৭ই মে )উয়েফার সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে কি ধরনের শাস্তি দেওয়া যায়। এক বিজ্ঞপ্তিতে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে উয়েফা_যদি রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সালোনা ও জুভেন্টাস তাদের পরিকল্পনা থেকে ফিরে এসে সুপার লিগের জন্য উয়েফার কাছে ভুল স্বীকার না করে এবং তাদের তৈরি করা নতুন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।

 উয়েফা চুক্তিপত্র ও অসঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করা ৯টি ক্লাব হলো চেলসি, আর্সেনাল,লিভারপুল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম ও এসি মিলান।উয়েফা চুক্তিনামায় যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছে তার মধ্যে কয়েকটিতে একমত হতে পারছে না বাকি তিনটি ক্লাব।

১. অন্যান্য ক্লাবের সঙ্গে এই ১২টি ক্লাবকেও ১৫ মিলিয়ন ডোনেশন দিতে হবে। যা তৃণমূল ফুটবলের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে।

২. প্রতি সিজনে উয়েফার কাছ থেকে ক্লাবগুলো যে অর্থ পায় সেটার ৫ শতাংশ কেটে রাখা হবে এবার।

৩.ভবিষ্যতে এই ধরনের (সুপার লিগ) লিগ কিংবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার চেষ্টা করলে ১০০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুণতে হবে। 

৪. চুক্তিতে উল্লেখিত কোনো অঙ্গীকারের একটিও ভঙ্গ করলে ৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হবে।

মূলত এসকল শর্ত নিয়েই আপত্তি তুলেছে রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাস। যে কারণে এখনো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেনি তারা। আর সেজন্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়েফা।