ননদের স্বামীর লালসার শিকার,গৃহবধূ আত্মহত্যা

ননদের স্বামীর লালসার শিকার,গৃহবধূ আত্মহত্যা
MostPlay

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শ্বশুরবাড়িতে ১ সন্তানের জননী গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে, তবে এটি সুপরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন নিহতের পরিবার।নিহত ঝর্না বেগমকে ননদ পারুল বেগমের স্বামী হুমায়ুন একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন নিহতের বাবা আবুল কালাম। আর ধর্ষণের ঘটনায় অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পরিবারের সদস্যরা।এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাহাব উদ্দিনকে আটক করেছে চরজব্বার থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) ভোর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে চরজব্বার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় নিহতের ঘর থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে চর জুবলী গ্রামের মাহে আলমের পুত্র নিহতের স্বামী সাহাব উদ্দিন (২৬), ভগ্নিপতি মোঃ হুমায়ুন (৩৫), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, সাং- উত্তর কচ্ছপিয়া, ০৬নং ওয়ার্ড, সাহাব উদ্দিনের পিতা মাহে আলম (৬৫), মাতা হাজরা বেগম (৪৫), ভাই নুর উদ্দিন (৩০), মোঃ জসিম (৩৫) সর্ব সাং- চরজুবলী, ০২ নং ওয়ার্ড, ০৫ নং চরজুবলী ইউপি আসামি করে চরজব্বার থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নিহতের পিতা আবুল কালাম বলেন, ২ বছর আগে চর জুবলী গ্রামের মাহে আলমের পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৬) এর সাথে আমার মেয়ে ঝর্ণা বেগমকে বিয়ে দেই। বর্তমানে তাদের ঘরে আব্দুর রহমান নামের ৬ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকারণে মারধর করতো, সম্প্রতি সাহাব উদ্দিনের বোনের স্বামী হুমায়ুন আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ের কাছ থেকে উপরোক্ত ঘটনা জানতে পেরে এই বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গাকে জানালে বিচার-শালিস হয়।

২৮ জুন আমার স্ত্রী রোশন আক্তার (৪৫) কে আমার মেয়ে ফোন করে জানায় ঝর্ণার ননদের স্বামী হুমায়ুন তার থাকার রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই খবর পেয়ে আমার স্ত্রী আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গেলে মেয়ের শাশুড়ি হাজেরা বেগম হাতজোড় করে ধরে তারা সমাধন করবে বলে আমার স্ত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

গতকাল ২৯ জুন রাত ৯টায় আমার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীর সাথে আমি ও আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলেছি। আজ ৩০ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয় এলাকার মেম্বার আমায় ফোন করে বলে আমার মেয়ে ফাঁসি দিয়েছে। এই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। আমার বিশ্বাস আমার মেয়েকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে”।

এলাকাবাসী বলেন, আমরা ২/৩ দিন ধরে শুনে আসছি ৩ দিন আগে নিহতের স্বামী কর্মস্থল চট্রগ্রামে থাকার সুবাধে নিহতের ননদের স্বামী হুমায়ুন চট্রগ্রাম থেকে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে ঝর্ণাকে একা পেয়ে গভীর রাতে ঝর্ণাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ২৯ জুন সোমবার বিকেলে পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password