আজ ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। বাংলা ১২৬৮ সনের এমনই দিনে কলকাতার জোড়াসাকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মমগ্রহণ করেন কবিগুরু। বাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় অবদান রাখা ও তাঁর লেখা যুগান্তকারী কবিতা ও গানে ঐশ্বর্যমন্ডিত হয়েছে বাংলার রূপ-রঙ ও প্রকৃতি। আরো জানিয়ে গেছেন বাঙালির জীবনবোধ, আবেগ, আকাঙ্খা ও প্রত্যয়।
জগৎ জীবনের বহু সংকটে তিনি ছিলেন পরম ভরসা। নানান দুর্যোগকালে তার লেখনী দিয়েছিলো শক্তি ও সাহস।
সূর্যকিরণের মতোই তাঁর আবির্ভাব বাংলা সাহিত্যে। আলোর পথ দেখিয়েছের বাংলার সাহিত্য ও জনজীবনকে। কবিতা ছিলো কবিগুরুর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তার লেখা ৫২টি কাব্যগ্রন্থে নানান ছন্দে প্রকাশ পেয়েছে বাংলা ও জনগণের আদি-অন্ত, রূপ-রঙ ও অনুভূতি। আর এখনো বাঙালি মুগ্ধ হয়ে থাকে তাঁর পরম ভালোবাসা ও যত্নে লেখা প্রায় ২০০০ গানের বিশাল ভান্ডারের কলোরবে।
বর্তমানে নিদারুণ দুর্দিন গ্রাস করেছে এ পৃথিবীকে। মহামারীর প্রকোপে স্বজনহারা মানুষের দহন হয়তো ভাষা ফিরে পাবে তাঁর লেখনী মাঝে। এ লড়াই জয়ের ভরসা পাবে বাংলার মানুষ। তাঁর লেখনী দিয়েছে সেই শক্তি, সাহস ও ধৈর্যের যোগান।
কবিগুরুর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কনের সৃষ্টিশীলতা শুধুই লেখনী নয় তা গড়ে গেছে এই সমাজের জনজীবন ও মূল্যবোধ। নতুন করে যেন ভালোবাসতে ও হাসতে শিখিয়েছেন এ মানবজাতিকে। বিশ্বজুরে ছড়িয়ে গেছেন শান্তির বার্তা। তাই এ বাংলা ও বাঙালি যতদিন রবে আমাদেরই মাঝে বেঁচে রবে কবিগুরু রবিঠাকুর।
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর।।
মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে।
সম্পাদনায়:
সুমাইতা লাইছা বুশরা,
বিডিটাইপ নিউজ,ঢাকা
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন