রোজা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করুন

রোজা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করুন
MostPlay

হান আল্লাহ আমাদের জন্য রোজাকে ফরজ করেছেন। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ। যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।

রোজার আরো কিছু দিক রয়েছে যেগুলো আমরা রোজা রেখে অবশ্যই পালন করব বা মেনে চলব। শুধু রোজার সময় নয়। আমাদের জীবনে সব সময় এগুলো মেনে চলতে হবে। যা কোরআন ও হাদিসে কঠোরভাবে বলা হয়েছে। যেমন-

কথার রোজা: যে ব্যক্তি মিথ্যা পরিত্যাগ করলো না, আল্লাহ তায়ালা তার পানাহার ত্যাগ কবুল করেন না (বুখারী: ১৯০৩)

চোখের রোজা: মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে… (সূরা নুর: ৩০-৩১)

কানের রোজা: নিশ্চয়ই কান, চোখ ও অন্তর এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে (সূরা বানী ইসরাঈল: ৩৬)

হাত ও পায়ের রোজা: আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে (সূরা ইয়া-সীন: ৬৫)

হৃদয়ের রোজা: প্রত্যেক দাম্ভিক অহংকারী জাহান্নামবাসী হবে (বুখারী: ৪৯১৮)

জীবিকার রোজা: এক ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে বের হয় এবং তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ও কাপড় ধুলোবালিতে ময়লা হয়ে আছে। অতঃপর সে নিজের দুই হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে ও বলে: হে রব! হে রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, সে হারামভাবে লালিত-পালিত হয়েছে; এ অবস্থায় কেমন করে তার দোআ কবুল হতে পারে (মুসলিম: ১০১৫)

আল্লাহ ভীতির রোজা: হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করো (সূরা বাক্বারা: ১৮৩)

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password