ফিলিস্তিনে তারাবীহ রত মুসল্লীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনে তারাবীহ রত মুসল্লীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ
MostPlay

ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে তারাবীহ নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হমালা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনি। ঠিক যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতই অবস্থার সৃষ্টি হয়। ইসরায়েল বাহিনি কতৃক এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আল আকসা মসজিদে হামলা, শেখ জাররাহ পাড়ায় ফিলিস্তিনি পরিবারদের উচ্ছেদ এবং বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তরিত করা মানবিক মানদণ্ড, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এবং চুক্তির লঙ্ঘন। এই ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদ এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালায়।  গত কয়েক দিন ধরে মুসল্লিদের ওপর হামলার পর সোমবার সকালেও মসজিদ কম্পাউন্ডে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় তারা মসজিদ এলাকা ঘেরাও করে রাখে। মুসল্লিদের ওপর রাবার কোটেড বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব জেরুজালেম-আল কুদস আল শারিফকে রাজধানী রেখে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের আঙ্গিকে ১৯৬৭ সালের সীমানাভিত্তিক একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি।

বাংলাদেশ মনে করে, জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উভয় দেশের সংলাপের মাধ্যমে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো উচিত।

উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ও তার সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। এমনকি ইসরায়েল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর স্বীকৃতি দিতে চাইলেও তা এই কারনে কোনভাবেই গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password