নরসিংদীর রিফাত হত্যায় দুই কিশোরের জবানবন্দি

নরসিংদীর  রিফাত হত্যায় দুই কিশোরের জবানবন্দি
MostPlay

নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কিশোর রিফাত মিয়ার (১৬) গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে দুই কিশোর জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এর আগে গতকাল বিকেলে তিন কিশোরকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত রিফাতের মা রুনা বেগম। গতকাল ভোরে উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে রিফাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে শিবপুরের সাধারচর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাধারচর গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রিফাতের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর পুলিশ সন্দেহভাজন এক কিশোরকে আটক করে। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে, আরও দুই কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ হওয়ার রাতেই রিফাতকে হত্যা করে পরিত্যক্ত ওই ট্যাংকে রেখে দেয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রিফাতের অর্ধগলিত ও গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরনের কাপড় ও লাল জুতা দেখে স্বজনেরা তার লাশ শনাক্ত করেন। এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন কিশোর। ওই তিন কিশোর পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে গত শনিবার রাত আটটার দিকে দক্ষিণ সাধারচর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে রিফাতকে ডেকে নেয়। মাফলার দিয়ে শ্বাসরোধের পর গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রিফাতের মা রুনা বেগম বলেন, ‘সামান্য ঘটনায় আমার এইটুকু ছেলেকে যারা লাশ বানিয়ে দিল, আমি তাদের বিচার চাই। এমন মৃত্যু আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না।’ রুনা বেগম জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে রিফাত সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। সে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। রিফাতের বাবা নিজ এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য কিশোরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password