জাহাজের নিচে চাপা পড়ে থাকা দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

জাহাজের নিচে চাপা পড়ে থাকা দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
MostPlay

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নতুন জাহাজ পানিতে ভাসানোর সময় হুইল ওয়্যারের তার ছিঁড়ে ওই জাহাজের নিচে চাপা পড়ে থাকা দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। জাহাজটির ওজন আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ টন।

উপজেলার বিবিজোড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠা স্নেহা শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নামের ডকইয়ার্ডে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত দুজন হলেন গাজীপুরের পূর্বাইলের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রদাহার এলাকার নূর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে ইয়া রসুল (৩০) ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার পুরাতন হাউলী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মমদ রাসেল (৪৮)।

এই শিপইয়ার্ডের মালিক আবুল কালাম। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। এই শিপইয়ার্ডটির অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন  জানান, উদ্ধার অভিযানকালে ফায়ার সার্ভিসের পানির পাম্পের সাহায্যে পানি দিয়ে জাহাজের নিচে চ্যানেল কেটে এরপর ড্রেজার দিয়ে বালু সরিয়ে বিকেলে ওই দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরেফিন আরও বলেন, ‘জাহাজটি ডকইয়ার্ড থেকে পানিতে ভাসানোর সময় কন্ট্রোল তার ছিঁড়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে ওই দুই শ্রমিক জাহাজের নিচে চাপা পড়েন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা সদর দপ্তর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও সদর থানার তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তিনি জানান, আনুমানিক ১৪০০ টন ওজনের জাহাজের নিচে পড়ার কারণে উদ্ধার অভিযান চালানো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি ছিল।’

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধারের পর রাসেলের লাশ তাঁর ছেলে হৃদয়ের কাছে ও ইয়া রাসুলের লাশ তাঁর স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে ফ্রিজিং গাড়িতে করে রাসেলের লাশ চুয়াডাঙ্গায় ও ইয়া রাসুলের লাশ গাজীপুরের টঙ্গীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডকইয়ার্ডটির কোনো অনুমোদন ছিল না। ঘটনার পর থেকে এর মালিকেরা পলাতক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password