বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর প্রজেক্ট ঘিরে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে বেড়েছে কর্মযজ্ঞ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর প্রজেক্ট ঘিরে  যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে বেড়েছে কর্মযজ্ঞ।
MostPlay

কোভিড-১৯ মহামারী,ফান্ডিং সহ নানা ইস্যু সত্বেও শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম এ মেগাপ্রজেক্টটি। বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার প্যারারালে এবং উজানে নির্মিতব্য এ রেল সেতুটি ট্রান্স এশিয়ান রেল সংযোগে যুক্ত হবে।ডুয়াল গেজ এবং ডাবল ট্রাক এ রেল সেতুটি চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২০ কিমি বেগে রেল চলাচল করে এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি এক রকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।রেল সেতু চালু হলে মুল সেতুতে যান চলাচলে ঝুকি কমবে, নতুন রেল সেতুতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে নুন্যতন ৮০ থেকে ১২০ কিমি গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এবং একই সাথে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর লংজিভিটি ও বাড়বে। তবে যমুনাপাড়ে সবচাইতে বড় সমস্যা হলো রাতের আধারে সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে ড্রেজিং করা। যার ফলে সেতু সংলগ্ন এলাকার মাটি সরে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হচ্ছে যা সেতুর জন্য ঝুকির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় অংশে গ্যাস,বিদ্যুৎ,ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে যাওয়ার ও কথা হয়েছে। ২০২৩ সালে গ্যাস পাইপ টানার এবং ২০২৫ সাল নাগাদ রেল সংযোগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।এ সেতু চালু হলে ভারত হয়ে নেপালে পণ্য পরিবহণ আরো বেগবান হবে। এ সেতুটির জন্য ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে যার ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে জাইকা।সেতুটির মুল দৈর্ঘ্য হতে যাচ্ছে ৪.৮ কিমি(প্রায়) নতুন সেতুটি চালু হলে সেখানে এন্টি এয়ারক্রাফট গান এবং এন্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম স্থাপন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password