IEA এর উপর নাখোশ তুরস্ক

IEA এর উপর  নাখোশ তুরস্ক
MostPlay

সাম্প্রতিক সময়ে(১৯ জুলাই)আফগানিস্তানে নিজেদের ভাইয়ের ভুমির উপর Islamic Emirate Of Afghanistan এর দমনপীড়ন বন্ধের দাবী জানিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপে এরদোগান। একই সময়,মুসলিমদের উপর করা আচরণের ব্যপারেও বেশ সমালোচনা করেন তিনি। সমসাময়িক সময়ে খবর আসছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর এ ঘোষণার পর আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে IEA. এ আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন এরদোগান তার ভাষায় IEA মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর চাইতে তুরস্কের সাথে আলোচনায় অত্যাধিক ''Comfortable''.

তুরস্কের সাথে IEA বিরোধ কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় তুর্কী নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি। সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন সেনারা চলে গেলেও কাবুল এয়ারপোর্টে নিজেদের উপস্থিতি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে সেনা মোতায়েন রাখবে মার্কিন প্রশাসন। তুরস্ক নিজেও এসময় কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য সেনা রাখার প্রস্তাব দিলে IEA এর ''Warning'' রিচেপ তাইপে এরদোগানের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও IEA এর দাবী,তারা কখনো বলেনি তুরস্ককে আফগানিস্তানে থাকতে দেয়া হবেনা। তারা শুধু বলেছে, এখন কোন বিদেশী সেনা আফগানিস্তানে থাকবেনা। বিভিন্ন সুত্রমতে,তুরস্ক এখনো আফগানিস্তানে নিজের উপস্থিতি রাখার পক্ষে। এরদোগানের ভাষায়,এতে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেই। আমেরিকা,ন্যাটো এবং তুরস্ক এই তিন জোটের উপস্থিতি আফগানিস্তান দেখেছে।

আংকারা এখনো আলোচনায় বিশ্বাসী এবং আমেরিকা ও চায় আংকারা নিজে কাবুল এয়ারপোর্টে নিজের উপস্থিতি রাখুক। তিনি আরো জানান,তুরস্ক তার যুদ্ধপীড়িত মুসলিম দেশের (আফগানিস্তান) সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার থাকতে চায়। যদিও IEA এখনো এ ব্যপারে মুখ খুলেনি,তবে শেষ নাগাদ,তুরস্কের হাতে বেশ কিছু অল্টারনেটিভ অপশন ও রয়েছে।সাহায্য এবং নিরাপত্তার নামে নিজের বাহিনীকে আফগানিস্তানে রাখার মত ব্যবস্থা তুরস্ক খুব সহজেই নিতে পারে যেমনটি আজারবাইজান এ তুরস্ক করতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মোড়লদের পালাবদলে যে ক্ষমতার ভ্যাকিউম তৈরী হয়েছে তাতে IEA এর পক্ষে এই বৃহৎ শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে সন্ধির কোন বিকল্প নেই। অন্যদিকে,IEA নিজেও নতুন করে কোন রাষ্ট্রের শত্রু হতে রাজি নয়।গেরিলা ওয়েরফেয়ারে যুদ্ধ করা গেলেও একটি যুদ্ধবিগ্রহ দেশ গেরিলা কায়দায় চালানো অসম্ভব বিষয়। উল্লেখ্য,আংকারা প্রায় ৬ বছর যাবত ন্যাটো কোয়ালিশনের আওতায় কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধান করে আসছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password