আজকের দিনটি স্পেশাল। তাদের জন্য। যারা চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো ভাই–বোন সম্বোধনের সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত। এ যেন অনন্য এক বৈচিত্র্যের মতোই বৈচিত্র্যময় সুন্দর প্রতিটি সম্পর্ক। 

পৃথিবীজুড়ে ভূখণ্ড, সভ্যতা, সমাজ কিংবা সংস্কৃতির নানা রকম ভিন্নতা থাকলেও এই সম্পর্কগুলোর আবেদন সর্বত্রই অভিন্ন থেকে যায়। বাঙালি সমাজে তো এসব সম্পর্কের রসায়ন অনন্য মাত্রার আঙ্গিকে পরিলক্ষিত হয়। যৌথ পরিবারে জন্ম যাঁদের, বেড়ে ওঠেন এমন অনেক জ্ঞাতি ভাইবোনদের মধ্যে, তাদের যে অনাবিল আনন্দময় শৈশব-কৈশোর, তার সত্যিই কোনো তুলনা হয় না। 

খুনসুটি, ঝগড়া, মান-অভিমান যত কিছুই হোক, দিন শেষে এই ভাই-বোনেরাই পরম বন্ধু, পরমাত্মীয়। শৈশব-কৈশোরের নানা রকম দুষ্টুমি, ছোটখাটো অপরাধ বাবা, মা বা পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে এরাই বুকে আগলে নেয়, সামলে নেয়। 

এই যে নিবিড় বন্ধুত্ব, সম্পর্কের এতটা মায়া আর মমতা। এর মধ্যে কোনো স্বার্থ থাকে না, থাকে না কোন শর্ত। এই বন্ধুত্ব কিন্তু পাতানো বন্ধুত্ব নয়। একসঙ্গে বহুদিন চলতে-ফিরতে গড়ে ওঠা কোনো প্রথাগত বন্ধুত্বও নয়। এ বন্ধুত্ব রীতিমতো জন্মগত। একমাত্র ‘রেডিমেড’ বন্ধুত্ব এটাই।

বছরের বিশেষ দিনগুলোতে সব আত্মীয়স্বজন যখন দাদাবাড়ি বা নানাবাড়িতে মিলিত হয়, তখন ভাইবোনদের মিলনমেলায় চাঁদের হাট বসে যেন। হাসি আনন্দে খলবল করতে থাকে বাড়িটি। একসঙ্গে সারা দিন খেলাধুলা, ঘুরে বেড়ানো, বিছানায় সারবদ্ধ হয়ে শুয়ে শুয়ে ফিসফিসিয়ে গল্প; যেন স্বর্গ নেমে আসে বাড়ি জুড়ে। 

আজ ২৪ জুলাই, কাজিন ডে বা তুতো ভাইবোনদের দিবস। দিবসটির যাত্রা শুরু কবে কীভাবে, তা অবশ্য জানা যায় না। তাতে কি হয়েছে! এমন একটা দিন ভীষণ আনন্দ আর আগ্রহ নিয়ে পালন করাই যায়। যে ভাইবোনদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই অনেক দিন কিংবা অভিমানে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন নিজেকে, আজকের দিনে রাগ–অভিমান ভুলে যোগাযোগ করতে পারেন। মনের আবেগকে তুলে ধরতে পারেন আপনার তুতো ভাই বা বোনের কাছে।