পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তানে বাংলাদেশ যে কারনে

পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তানে বাংলাদেশ যে কারনে
MostPlay

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান বর্তমানে এক নতুন সাইক্যোলজিক্যাল ওয়েরফেয়ারের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার IEA(Islamic Emirates Of Afghanistan) বিরোধী। অন্যদিকে প্রতিদিন জায়গা হারালেও ঘানি সরকার উপজাতি গোষ্ঠী এবং সীমান্তবর্তী War Lord দের সাথে IEA এর বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। IEA কে পাকিস্তানের সৃষ্টি বলে আখ্যা দিয়ে এর আগেও আফগানিস্তান অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে ইসলামাবাদে আফগান রাষ্ট্রদূতের মেয়ের অপহরণের পর পাক-আফগান সম্পর্ক তলানীতে নেমেছে। এরই মাঝে ঈদের নামাজ পালন কালে লাইভ টেলিকাস্ট চলাকালীন অবস্থায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে রকেট হামলার পর থেকে আফগানিস্তানের সরকারী দলের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকহারে পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন।

পাকিস্তানের ব্যপারে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানীদের ১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে আত্নসমর্পনের ছবি দিয়ে জানান,,''আমাদের ইতিহাসে এমন কোন (যৌথ বাহিনীর সামনে আত্নসমর্পনের দলিল স্বাক্ষরের) ছবি নেই,ছিল ও না। হ্যা গতকাল আমি কিছুটা বিচলিত ছিলাম,যখন আমার মাথার পাশ দিয়ে কিছু মিটার দুরে রকেট পড়েছিল(প্রেসিডিন্সিয়াল ভবনে ঈদের নামাজের সময় হামলার কথা)। প্রিয় পাকিস্তানী টুইটার যোদ্ধা,তোমাদের IEA এবং সন্ত্রাসবাদ দিয়েও এই ছবির শোক(১৯৭১ এ পূর্ব পাকিস্তান হারাবার কষ্ট) কাটাতে পারবেনা। এসব বাদ দিয়ে অন্য কোন উপায় খুজো''

উল্লেখ্য,পাকিস্তানে এ টুইটের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। অন্যদিকে,কাতারে আফগান সরকার এবং IEA এর শান্তি আলোচনা তেমন ভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছেনা। IEA দাবী করছে,তারা আফগানিস্তানে হত্যা চায়না বরং শান্তি চায়।নিজেদের দখলে নেয়া জায়গায় তারা এখনো অশান্তি সৃষ্টি করেনি বলে দাবী তাদের।একই সাথে চাইলেই তারা রাতারাতি ক্ষমতা জোর করে দখল করতে পারত বলেও জানায়।তারা এও দাবী করে,শান্তিতে বিশ্বাসী বলেই তারা সংঘাত এড়িয়ে যাচ্ছে যাতে নীরিহ আফগানদের মৃত্যু,ক্ষয়ক্ষতি না হয়। অন্যদিকে,আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মেয়ের অপহরনের জন্য রাষ্ট্রদূতের মেয়ের প্রটোকল বহির্ভুত চলাচল এবং ব্যক্তিগত সমস্যাকেই দায়ী করেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকার দলীয় নেতা।

একথা অনস্বীকার্য পাক-আফগান বিষয়ে ভারত,পাকিস্তান,আমেরিকা,তুরস্ক এর Raw,ISI,CIA এর মত সকল গোয়েন্দা সংস্থা আফগানিস্তানে একটিভ কনফ্লিক্টে জড়িয়ে আছে।  বাংলাদেশের কোন দুতাবাস আফগানিস্তানে না থাকলেও আফগানিস্তান তার দুতাবাস ঢাকায় পরিচালনা করছে। শিক্ষা,স্বাস্থ্য,আইটি সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের এক সাথে কাজ করার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে,আফগানিস্তান এর প্রকৃত উন্নয়নের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হওয়া এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগীতা আরো জরুরী। যদিও এক একেক দেশের স্বার্থ একেক রকম হওয়ায় আফগানিস্তানে খুব শীঘ্রজ শান্তি আসবে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password