সৈকত-সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় জয় পেল শেখ জামাল

সৈকত-সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় জয় পেল শেখ জামাল
MostPlay

আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক যখন স্কোর বোর্ডে ১৬৩ রান জমা করলো তখন মনে হচ্ছিল জমজমাট একটা খেলা হবে কিন্ত ইমরুল ও সৈকত আলীর মধ্যকার বড় জুটি ও শেষদিকে সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে সেই লক্ষে সহজেই পৌছে গেল শেখ জামাল।

১৬৪ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ আশরাফুলের(৫) উইকেট হারায় শেখ জামাল। আশরাফুল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। ইমরুলকে সাথে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়ে তোলেন এবারের ডিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৈকত আলী। মাত্র ৩৬ বলে ৬০ রান করে সৈকত আলী যখন সাজধরে ফিরে যান তখন শেখ জামালের সংগ্রহ ১১০ রান। সৈকত ফিরে যাবার পর বেশিক্ষন টিকে থাকতে পারেননি ইমরুল। ১১৫ রানের মাথায় ফিরে গেছেন ব্যাক্তিগত ৪৪ রান করে।

এই দুজন সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা স্বস্ততির নিশ্বাস ফেলছিল তখন জ্বলে উঠলেন শেখ জামাল অধিনায়ক সোহান। প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের উপর দিয়ে রিতীমত ঝড় বইয়ে দিলেন তিনি। মাত্র ১৭ বলে ৪৪ রানের হ্যারিকেন ইনিংসে প্রাইম ব্যাংকের জয়ের স্বপ্ন গুড়িয়ে জয়ের বন্দরে শেখ জামাল অধিনায়ক সোহান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় শেখ জামালের। সোহানের সাথে ১২ বলে ৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন তানভির হায়দার। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রুবেল, নাহিদুল ও শরিফুল একটি করে উইকেট শিকার করলেও সবাই ছিলেন অনেক খরুচে।

এর আগে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে ব্যাট করতে পাঠায় শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ছাড়া খেলতে নামা প্রাইম ব্যাংক ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার রনি তালুকদারের(১১) উইকেট হারায়। এরপর অধিনায়ক বিজয় ও ওপেনার রুবেল মিয়া ৩৪ রানের জুটি গড়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেন। রুবেল মিয়া ২১ রান করে বিদায় নিলে উইকেটে আসেন ইনফর্ম মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে এসেই উইকেটের চারপাশে শট খেলতে থাকেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বিজয়ের সাথে গড়েন ৪০ রানের পার্টনারশিপ। দারুণ শুরুর পর ইনিংসকে বেশি লম্বা করতে পারেননি বিজয়। আউট হয়েছেন ২৭ রান করে। বিজয়কে হারিয়ে একটুও বিচলিত হননি মিথুন। অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানকে নিয়ে খেলেছেন একেবারে শেষ পর্যন্ত। এই দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি। মোহাম্মদ মিথুন অপারজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬৭ রান করে। এবারের ডিপিএলে এটি মিথুনের তৃতীয় অর্ধশতক। তাকে ভাল সঙ্গ দিয়েছেন রকিবুল হাসান। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ৩৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬৩ জমা করে প্রাইম ব্যাংক। শেখ জামালের ইলিয়াস সানী ৪ ওভার বল করে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password