মা-বাবা-বোনকে হত্যার পর নিজের স্বামী ও মেয়েকে হত্যার চেষ্টা- মেহজাবিন মুন

মা-বাবা-বোনকে হত্যার পর নিজের স্বামী ও মেয়েকে হত্যার চেষ্টা- মেহজাবিন মুন
MostPlay

১৯ জুন, শনিবার সকালে ঢাকার কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়। বড় মেয়ের হাতে খুন হলো পরিবারটি।

মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও ছোট বোন জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর আহত অবস্থায় খুনির দ্বিতীয় স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার আগের ঘরের মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তিয়াকে (৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যা করে মেহজাবিন ইসলাম মুন।

ওয়ারী জোনের ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, খুনি মেহজাবিন মুন হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে সকাল ৮টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন করেন। তখন পুলিশ দ্রুত না গেলে নিজের স্বামী ও সন্তানকেও মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেয় মুন। পরে পুলিশ গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করে এবং বাকি ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে মুনকে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাতে বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করে মুন। পুলিশ আরও জানায়, রাতে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় মুন। সবাই অচেতন হয়ে পড়লে মা-বাবা ও বোনকে রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। স্বামী ও শিশু সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তবে তারা অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মরদেহগুলো হাত পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। গতকালকে রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে তাদেরই মেয়ে। সেই মেয়েকে আটক করা হয়েছে।’

অন্যদিকে খুনির স্বজনরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কেরানিগঞ্জে মুনের প্রথম বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীকেও খুনের দায়ে তার জেল হয়েছিল। আর সেই ঘরেরই মেয়ে মারজান আর তার দ্বিতীয় স্বামী(বর্তমান) হলো শফিকুল ইসলাম। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তারা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password