যশোরের বিভিন্ন এলাকায় আবারও ৭ দিন লকডাউন বাড়লো।

যশোরের বিভিন্ন এলাকায় আবারও ৭ দিন লকডাউন বাড়লো।
MostPlay

যশোরসহ আসে পাশের অনেক উপজেলায় আবারও ৭ দিন লকডাউন বাড়লো। নতুন এক বিধিনিষেধ জারি করে যশোরে এই ‘লকডাউন’ ৭দিন বাড়ানো হয়। এই বিধিনিষেধে বলা হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে এই লকডাউন ১৬ জুন ২০২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ জুন ২০২১পর্যন্ত চলবে। সময়সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি এলাকাও লকডাউনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। জানা যায়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার জন্য জেলা সদরের মধ্যে চাঁচড়া, উপশহর, আরবপুর ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

এছাড়াও ঝিকগাছা ও নওয়াপাড়া পৌরসভা এবং শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়ন এছাড়া বেনাপোল শহর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন২০২১) বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্তের পর সন্ধ্যার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এটি গণবিজ্ঞপ্তি আকারেও প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে।

ঔ গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের বর্ধিত এই সময়কালে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে গণপরিবহন (বাস) চলাচল বন্ধ থাকবে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। তবে রোগী পরিবহনকারী যান ও অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবা এই আদেশের বাইরে থাকবে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। মহাসড়কে আন্তঃজেলা গণপরিবহন সরকার আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে তবে সিমিত আকারে। কিন্তু আন্তঃজেলা বাস চলাচল করতে পারবে না। কাঁচাবাজারে, ফুল ও নিত্য প্রয়োজনীয় (মুদিখানা) পণ্যের দোকান সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

কিন্তু সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল, বিপণীবিতানসমুহ বন্ধ রাখতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাবার বিক্রি করা যাবে,কিন্তু হোটেলে-রেস্তোরায় বসিয়ে খাবার খাওয়ানো যাবে না বলা হয়েছে। এছাড়া আগের মতই বিধিনিষেধ বহাল থাকছে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ব্যবস্তা।

ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদানসমুহ, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি। সেই সাথে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে স্থলবন্দরের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি, বেসরকারি) গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ও বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসমুহ, মুদ্রণালয়, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার কার্যক্রম গুলো। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, স্থানীয় সরকারের অধীন অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। এই আদেশ জারিকৃত বিধিনিষেধে জানানো হয়, সবাইকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের কাজ ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে চলাচলকারী সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। চালক ছাড়া মোটরসাইকেলে অন্য কোনো আরোহী উঠতে পারবে না। রিকশায় শুধুমাত্র একজন ও ইজিবাইক ও অটোরিকশায় সর্বোচ্চ দুইজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। শিল্প-কলকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।

শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পর্যটনস্থল, পার্ক, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে সম্পূর্ণভাবে। জনসমাবেশ হয় এমন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান-বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টিসহ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।

ঘর থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে আসতে হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ওই সংখ্যক মানুষ উপাসনা করতে পারবেন। জেলা করোনার এই কমিটির সভায় কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন ।

এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলও, পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী খান পলাশ, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ এবং আরও অনেকে। আরও বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুনঃ করেনায় আবারো যশোরে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৩৫ জন।এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলও, পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী খান পলাশ, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ এবং আরও অনেকে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password