কিছু মানুষের চোখে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি অভিব্যক্তি

কিছু মানুষের চোখে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি অভিব্যক্তি
MostPlay

কিংবদন্তি লেখক ও পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার, ১৯ জুলাই।

বাংলা সাহিত্যে মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি অনেক ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক হিসাবেও সমানভাবে সফল হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত নির্মাতা তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর তাঁর সাথে তাঁর বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি বহু বছর আগে হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম এক ঘণ্টার টেলি-ফিকশনে অভিনয় করেছি। আমার মনে আছে তিনি আমার অভিনয় পছন্দ করেছিলেন। সেই থেকে আমি যতক্ষণ না একজন নিয়মিত অভিনেতা ছিলাম ততদিন আমি তার বেশিরভাগ টেলিভিশন সিরিজ এবং একক পর্বের প্রকল্পগুলিতেও অভিনয় করেছি।

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পরে আমি কোনও নিয়মিত অভিনেতা ছিলাম না। আমি সময়ে সময়ে কেবল কয়েকটি প্রযোজনায় কাজ করেছিলাম। আমার অনিয়ম দেখে হুমায়ূন আহমেদ যদিও খানিকটা হতাশ হয়েছিলেন।'

হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং শেষদিন পর্যন্ত নিয়মিত খোঁজ-খবর রেখেছিলেন বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক পূরবী বসু্। এ নিয়ে 'নিউইয়র্কে হুমায়ুন আহমেদের ক্যান্সার চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ' নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।

এদিকে প্রতিবার বড় আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী পালন হলেও করোনার কারণে এবার অনাড়ম্বর আয়োজনে এ লেখককে স্মরণ করা হয়। সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও তার দুইপুত্র নিনিত ও নিষাদ এর উপস্থিতিতে গাজীপুরের পিরুজআলীর নুহাশ পল্লীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কবর জিয়ারত করেন তারা। এসময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় তারা তিনজন প্রার্থনা করেছেন।

বাঙালির মনে আজও হুমায়ুন আহমেদ একই রকম মর্যাদায় বিদ্যমান। শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বজুড়ে তার ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করে। তার লেখনী আজও ভক্তদের মন ছুঁয়ে যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password