অর্থাভাবে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অর্থাভাবে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
MostPlay

আগামীকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। চলতি জুন থেকে শুরু করে আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা ব্যায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এই অধিবেশনে। শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার জন্যে দরকার প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এখনো পর্যন্ত ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ এই অর্থের ব্যবস্থা করতে পারেনি। আর এই কারণে আগামীকালের অধিবেশনটি গুরুত্বপূর্ণ।

যদি নেতৃত্বস্হানীয় দেশগুলো অর্থ যোগানের ব্যাপারে সর্বসম্মতি দিতে না পারে তাহলে শান্তিরক্ষা মিশন শাটডাউন ঘোষণা করা হবে। এ নিয়ে কিছু কূটনীতিক কূটনৈতিক আলোচনার পদ্ধতিকে দায়ী করছেন। যার মুল কারণ পশ্চিমা দেশ কর্তৃক চীনকে অব্যাহত চাপ প্রয়োগ। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারী দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাদের কন্ট্রিবিউশান প্রায় ২৮%, এরপরে রয়েছে চীন ; তাদের কন্ট্রিবিউশান ১৫.২%, তৃতীয় স্হানে রয়েছে জাপান; তাদের কন্ট্রিবিউশান ৮.৫%।

অর্থাৎ উল্লেখিত ৩টি দেশেই মোট পীস কিপিং মিশনের ৫১.৭% অর্থ সরবরাহ করে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের হেড অব ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স Catherine Pollard বলেছেন, যদি আগামীকাল নতুন বাজেটের অর্থ যোগান দেয়ার ব্যাপারে শক্তিশালী দেশগুলো একমত হতে না পারে তাহলে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ১২ টি শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ ঘোষনা করা হবে।

৩০ শে জুনের সময়সীমাটি যদি বাদ পড়ে যায় তবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কেবলমাত্র জাতিসংঘের সম্পদ রক্ষায় এবং কর্মচারী ও শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রধান জ্যান-পিয়ের ল্যাক্রিক্স বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং রাজনৈতিক প্রচেষ্টা এবং মধ্যস্থতাকে সমর্থন করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণে মিশনগুলি কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ এবং অক্ষম হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password