তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “তালেবানের উচিত তাদের ভাইদের মাটিতে দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। তাদের উচিত বিশ্বকে এটা দেখানো যে, এখনই আফগানিস্তানে শান্তি বিরাজ করছে। মুসলিমদের পরস্পরের সঙ্গে যেমন আচরণ করা দরকার তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।” ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিদেশি বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর তুরস্ককে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। আঙ্কারাও এ দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জবাবে এরদোয়ান জানান, তার দেশের সেনারা কীভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে তার সব দিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে কথা হয়েছে। আঙ্কারা কাবুলে তার দায়িত্বের পরিধি সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণার পর আফগানিস্তানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে ফের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তালেবান। দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনও অজুহাতে আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতিকে তারা দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কি সেনাদেরও তারা দখলদার বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এই দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন