কুরবানির দিনে না থাকুক কোনো ভেদাভেদ

কুরবানির দিনে না থাকুক কোনো ভেদাভেদ
MostPlay

আজ ২১ জুলাই (বুধবার)। বিশ্ব মুসলিম জাতির পবিত্র ঈদ-উল-আজহা তথা কুরবানির ঈদ।

এই দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নযোগে পাওয়া আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তার পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে নবীর এই ত্যাগ দেখে খুশি হয়ে আল্লাহ তাঁর কুদরতে ইসমাঈল (আ.) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা স্থানান্তর করে দিয়েছিলেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন চোখ মেলে নিজের ছেলেকে জীবিত দেখেন তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।

মূলত তখন থেকেই আল্লাহ তায়ালা কুরবানি দেওয়ার এই নিয়ম চালু করেন। কুরবানি দেওয়ার অনেক নেয়ামত আছে। সঠিকভাবে কুরবানির হক আদায় করলে আল্লাহ তাআলা খুশি হন এবং কুরবানিদাতার নেকী বাড়িয়ে দেন।

তাই ধনী-গরীব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব সকলের মাঝেই এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়া উচিত। আর তাই কুরবানির গোস্তকে তিন ভাগে ভাগ করাকেই উত্তম বলা হয়েছে। এক ভাগ নিজের আরেক ভাগ আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবের আর অন্য ভাগটি গরীবের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।

এইভাবেই কুরবানির দিনে কোনো ভেদাভেদ না রাখা সম্ভব। এবং সকলের মুখেই হাসি ফোটানো সম্ভব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password