রাব্বি-শরিফুল্লাহর বোলিং তোপে আবহনীকে হারাল দোলেশ্বর

রাব্বি-শরিফুল্লাহর বোলিং তোপে আবহনীকে হারাল দোলেশ্বর
MostPlay

নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে যখন আবহনীর সামনে ১৩৩ রানের টার্গেট ছুড়ে দিল প্রাইম দোলেশ্বর তখন সবাই মনে করেছিল খুব সহজেই হয়তো এই রান টপকে যাবে আবহনী। মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। কেননা আবহনীর ব্যাটিং লাইনআপ যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ধারবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছে। কিন্ত মিরপুরে দেখা মিলল উল্টো চিত্র। ১৩৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০৪ রানেরি গুটিয়ে গেল কাগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দলটি। আরও সহজভাবে বলতে গেলে ইনিংসের প্রথমে শরিফুল্লাহ ও শেষদিকে কামরুল ইসলাম রাব্বির বোলিং তোপেই উড়ে গেছে আবহনীর ব্যাটিং লাইনআপ।

দোলেশ্বরের দেয়া ১৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আবহনী। দলীয় ১৬ রানেই ফিরে যান গত দুই ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা মুনিম শাহরিয়ার (৮)। শান্ত (৮), মুশফিক (৪)ও মোসাদ্দেক (১৪)ও ফিরে গেছেন দ্রুত। মোহাম্মদ নাইম (২২) উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন কিন্ত দলকে ভাল জায়গায় নেয়ার আগেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। শেষদিকে আফিফ কিছুটা আলো না ছড়ালে পরাজয়ের ব্যাবধানটা আরও বড় হতে পারতো। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন ২৬ রান করেন জোর করে ফিনিশার বানিয়ে দেয়া আফিফ হোসেন। এক বল বাকি থাকতেই আবহনী অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৪ রানে। প্রাইম দোলেশ্বরের শরিফুল্লাহ ৪ ওভারে ১২ রানে ২টি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি ২.৫ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। এই দুই বোলারের কল্যানেই ২৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দোলেশ্বর।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দোলেশ্বরকে দারুণ সুচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইমরান ও সাইফ হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারে তারা তুলে নেয় ৩০ রান। এরপর ইমরান(২৩) ফিরে গেলে দলের ইনিংস মেরামত করেন সাইফ। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে পরপর দুই ছক্কা উড়িয়ে আগ্রাসন দেখানো শুরু করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অভিজ্ঞ ফজলে রাব্বি (১) উইকেটে টিকতে না পারলেও মার্শাল আইয়ুবকে সাথে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান যোগ করেন সাইফ। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় মার্শাল (২০) ফিরে গেলে দ্রুত ছন্দপতন হয় প্রাইম দোলেশ্বরের ইনিংসে। ১০৯ রানের মাথায় ফিরে যান দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা সাইফ হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৪৯ বলে ৫৮ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি ছয়ের মার। এরপর দোলেশ্বরের কোন ব্যাটসম্যান দাড়াতে না পারলে ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামে তাদের ইনিংস। বল হাতে আবাহনীর হয়ে মেহেদী হাসান রানা ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন তানজিদ হাসান সাকিব। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২য় স্থানে উঠে এল দোলেশ্বর। অপরদিকে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আবহনী। দুই দলেরই সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password