কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ একদিনেই আক্রান্ত ২৭

কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ একদিনেই আক্রান্ত ২৭
MostPlay

কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টেও সংক্রমণের উর্ধ্বগতির ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বাড়লেই বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা।

সর্বশেষ রিপোর্টে জেলায় মোট ৩৪ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বিপরীতে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে জেলায় এদিন সুস্থ হয়েছেন মোট ১০ জন। এ পরিস্থিতিতে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা ২৪ জন বেড়েছে। আগের দিন বুধবার (১৬ জুন) জেলায় বর্তমান আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ২৪৯ জন। ফলে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বর্তমান রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ২৭৩ জন। জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ৩৪ জনের মধ্যে ২৭ জনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাতে শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া বাকি ৭ জনের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ জন এবং ভৈরব উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছে।

ফলে শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব সূচকেই জেলার মধ্যে শীর্ষে থাকা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় বর্তমান মোট রোগী ২৭৩ জনের মধ্যে ২০২ জনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। তিন উপজেলা বর্তমানে করোনাশূন্য থাকায় বাকি ৯ উপজেলা মিলিয়ে বর্তমান রোগীর সংখ্যা ৭১ জন।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ও বুধবার (১৬ জুন) সংগৃহীত মোট ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।

এ রিপোর্টে মোট ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮৪ জনের মধ্যে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে। সেখানে বুধবার (১৬ জুন) এই ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সবারই কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২০ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। নতুন সুস্থ হওয়া ১০ জনের সবাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন যাদের মধ্যে ৭ জন আইসিইউতে রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন কেউ ভর্তি কিংবা কেউ ছাড়পত্র পাননি।

এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৫১৬৩ জন শনাক্ত, ৪৮০৫ জন সুস্থ এবং ৮৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ২৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২২ জন হাসপাতাল ও ২৫১ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব সূচকেই জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এ তিন হাওর উপজেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোন রোগী নেই।

বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ২৭৩ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৪ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৫ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৯ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১৫ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৩ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১২ জন, ভৈরব উপজেলায় ১০ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন এবং বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন।

এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এরপর থেকে প্রথম ডোজ দেয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ২১ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩০ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password