কোভ্যাক্সিন চলবে না, আমেরিকায় গেলে নিতে হবে নতুন ভ্যাকসিন?

কোভ্যাক্সিন চলবে না, আমেরিকায় গেলে নিতে হবে নতুন ভ্যাকসিন?
MostPlay

টিকা নেওয়া তো হয়ে গিয়েছে! কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) দু'টো ডোজই। টিকাকরণের সার্টিফিকেটও সঙ্গে আছে। তাহলে আবার কেন? মহা ফাঁপরে পড়েছেন  পড়ুয়া । কারণ, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতিই তাঁকে জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে আসা মাত্রই আবার টিকা নিতে হবে তাঁকে। ফাইজার (Pfizer), মডার্না (Moderna) কিংবা জনসন অ্যান্ড জনসনের (Johnson And Johnson) যে কোনও একটা নিলেই হবে। একে এই অতিমারী আবহে বিদেশ-বিভুঁইয়ে পড়তে যাওয়ার ঝুঁকি, তার উপর আবার এই টিকা বিপত্তি। দু'টো সম্পূর্ণ আলাদা টিকা (Corona Vaccine) নিলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে, তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়।

তা হলে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন 'ফতোয়া' কেন? আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, শুধু কলম্বিয়া নয়, তাদের দেশের প্রায় সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ই বিদেশি পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় কোভ্যাক্সিন কিংবা রুশ করোনা-টিকা স্পুটনিক ভি-কে তারা মান্যতা দিতে নারাজ। কারণ এই দু'টি টিকা এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অনুমোদন পায়নি। তাই অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় পড়তে এলে সে দেশে চালু টিকা নিতে হবে। কেউ যদি কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজ নিয়ে থাকেন? তা হলে অবশ্য আমেরিকায় তিনি বিনা বাধায় যেতে পারেন। কারণ, এটি হু-র অনুমোদিত টিকার তালিকায় রয়েছে।

'স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স'-এ স্নাতকোত্তর পড়তে যাওয়ার কথা বছর পঁচিশের মিলনি টিকা। বিদেশে পড়তে যাওয়ার থেকেও এখন তাঁকে বেশি ভাবাচ্ছে এই 'ককটেল' টিকার ঝুঁকি। করোনা রুখতে দু'রকম টিকা আদৌ নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

কলম্বিয়ার মতো আমেরিকার ৪০০-রও বেশি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব পড়ুয়াদেরই টিকাকরণ কার্যত বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। যেহেতু অনেক দেশ থেকেই এখানে পড়ুয়ারা আসেন, তাই কোনও ভাবেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা।  আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মুখপাত্র ক্রিস্টেন নর্ডলান্ডের উপদেশ, আমেরিকার এসে নতুন টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত আগের টিকার থেকে ২৮ দিনের ব্যবধান প্রয়োজন।

প্রতি বছরে গড় ২ লক্ষের মতো  পড়ুয়া আমেরিকায় যান। এঁদের অনেকেই কোভ্যাক্সিন নিয়ে এখন ফাঁপরে পড়েছেন। সে দেশে  পড়ুয়াদের একটি সংগঠনের দাবি, রোজ ১০-১৫টা ফোন আসছে এই সমস্যা নিয়ে।

কোভ্যাক্সিনের এই বিপত্তি অবশ্য প্রথম নয়। ভারতীয় এই টিকা যেহেতু এখনও হু-র ইমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং-এ নেই, তাই এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও বিদেশযাত্রায় সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকের একাধিক সূত্রের দাবি, চলতি মাসেই অনুমোদন চলে আসবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password