ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জন্য প্রস্তুত বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জন্য প্রস্তুত বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র
MostPlay

প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টির বাংলা নাম যশ ও ইংরেজিতে ইয়াস বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম যাই বলা হোক না কেন বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মানুষ একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবানী অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলী অতিক্রম করতে পারে। তাই সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জসহ জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। আসন্ন ঝড় মোকাবিলা করতে ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বিশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত এটি লঘুচাপে পরিণত হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় শেষপর্যন্ত তা লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।এর প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা থেকে চট্টগ্রাম উপকূল বিস্তৃত হতে পারে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় তাহলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’। ওমানের দেওয়া আরবি শব্দের এই নামের অর্থ হচ্ছে ‘মরিয়া’।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুত থাকছে ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র। শুক্রবার বিকেলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জরুরি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।

সভায় জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ সব সরকারি বেসরকারি সংস্থাকে প্রস্তুত থাকবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করবে। জেলার জনগণকে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও ঝড়ের সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রাখার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারন সম্পাদক তালুকদার নাহমুল কবির ঝিলাম, সাংবাদিক বাবুল সরদার, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগন অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলী অতিক্রম করতে পারে।  প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গতিবেগ কম হলেও ২৬ মে ভরা পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর তা হলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের বড় ধরনের ক্ষতি আশংকা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password