রুপগঞ্জের বিপক্ষে আবহনীকে জেতালেন নাইম শেখ

রুপগঞ্জের বিপক্ষে আবহনীকে জেতালেন নাইম শেখ
MostPlay

রুপগঞ্জের বোলার মোহাম্মদ শহীদের বলে জয়সুচক রান নিয়ে মোহাম্মদ নাইমের উল্লাসে মেতে উঠা দেখলেই বুঝা যায় প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে জয়টা বেশ গুরুত্বপুর্ণ ছিল আবহনীর জন্য। এরকম উল্লেয়াসে মেতে উঠার আরও একটা কারণও আছে। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ যে আজ হয়ে উঠলেন প্রকৃত টি-টুয়েন্টি ম্যাচের ফিনিশার। এরকম ভুমিকায় ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বলে হয়তো উৎসবের মাত্রাটাও ছিল একটু বেশি। ওপেনার নাইম শেখ আজ ব্যাট করেছেন ছয় নাম্বার পজিশনে। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ৯৪ রানে ৪ উইকেট নেই আবহনীর। উইকেটে এসে থিতু হবার আগেই দলীয় ১১৩ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বসে আবহনী।

জেতার জন্য শেষ ২৯ বলে দরকার ৫১ রান। উপরের সারির ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আবহনীর পক্ষে ম্যাচ জেতা বলতে গেলে প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। ক্রিজে ছিলেন নাইম শেখ আর বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। নিচে আর কোন স্বিকৃত ব্যাটসম্যান ছিল না । ব্যাট করার অপেক্ষায় ছিলেন বোলাররা। ম্যাচের এই অবস্থা থেকে আবহনীকে নাটকীয় এক জয় এনে দিলেন নাইম শেখ। নাইম আর সাইফুদ্দিন মিলেই শেষ করে এসেছেন খেলা। নির্ধারীত ওভারের ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় শিরোপা প্রত্যাশি আবহনীর। নাইম শেখ ১৯ বলে ৩৯ রন করে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ের মার। তাকে ভাল সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এই বোলিং অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১৪ রান করে। লিজেন্ড অব রুপুঞ্জের হয়ে ৪০ রানে ২ উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টিবৃঘ্নিত ম্যাচে ১৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে রূপগঞ্জ। তবে ভাল শুরু করতে পারেনি রুপগঞ্জ। দলীয় ২০ রানের মাথায় ফিরে যান ওপানার মেহেদী মারুফ (৮)। এরপর জাকের আলী ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে চড়ে বড় স্কোরের দিকে এগুতে থাকে রুপগঞ্জ। দুজন মিলে গড়েন ৬৯ রানের পার্টনারশিপ। মেহেদী হাসান রানার বলে ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে সাব্বির রহমান সাজঘরে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। সাব্বির না পারলেও অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন জাকের আলী। সাইফুদ্দিনকে উইকেট দেয়ার আগে ৪২ বলে ৫২ রানের মুল্যবান ইনিইংস খেলেন তিনি। শেষদিকে আল আমিন ২৬ , নাইম ইসলাম ১৬ ও মুক্তার আলী ৫ বলে ১৪ রান করলে নির্ধারীত ওভার শেষে বর সংগ্রহ পায় রুপগঞ্জ। আবহনীর পেসার রানা ৩টি ও সাইফুদ্দিন ২ উইকেট লাভ করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password