যশোরের বেনাপোলে স্বর্ণচুরির দায়ে ৭কাস্টমস কর্মকর্তার নামে আদালতে চার্জশিট।

যশোরের বেনাপোলে স্বর্ণচুরির দায়ে ৭কাস্টমস কর্মকর্তার নামে  আদালতে চার্জশিট।
MostPlay

যশোরের বেনাপোলে স্বর্ণচুরির দায়ে ৭ কাস্টমস কর্মকর্তার নামে  আদালতে চার্জশিট। যশোরের বেনাপোল স্বর্ণচুরির কারণে কাস্টমসের কর্মকর্তাসহ ৭ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বেনাপোলের কাস্টমস হাউজের লকার বা ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলায় সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্তভার শেষে সোমবার (১৪ জুন২০২১) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

অভিযুক্তদের নাম হল- রাজবাড়ির জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বাঁধুলী খালপাড়া গ্রামের মৃত জালাল সরদারের ছেলে ও বেনাপোল কাস্টমসের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শাহিবুল সরদার, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়পুর গ্রামের রনজিৎ কুন্ডর ছেলে এবং সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডু ছিলেন, আরোও ছিলেন বরিশাল বিভাগের আগৈলঝাড়া উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চারুয়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ আরশাদ হোসাইন,

খুলনার তেরখাদার বারাসাত গ্রামের মৃত আতিয়ার মল্লিকের ছেলে বেনাপোল কাস্টমস বেসরকারি কর্মী আজিবার রহমান মল্লিক ও বেনাপোলের ভবেরবেড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে শাকিল শেখ। এদের নাম চার্জশিটে লেখা হয়েছে। এই মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর আনুমানিক রাত আটটা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল আটটার মধ্যে যেকোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরেরা ভোল্ট খুলে ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করে, যার বাজার বর্তমানে মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ টাকা।

এই ভোল্টের চাবি সবসময় শাহিবুলের কাছেই থাকতো বলে জানা যায়। এছাড়া ঔ ভোল্ট ও গোডাউনের বিভিন্ন লকারে স্বর্ণসহ নানান মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা ছিল। সেগুলো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। বিষয়টি পূর্বপরিকল্পনা করে চুরি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চুরির বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলাটি করেন।

এ চুরির ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে কতৃপক্ষ। প্রথমদিকে বেনাপোল পোর্ট থানা এবং পরে সিআইডি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করেতে থাকে। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জাকির হোসেন প্রথমে তদন্ত শুরু করেন বলে জানা গেছে। তার অন্যত্র বদলি হওয়ায় পরিদর্শক হাসান ইমাম মামলার তদন্তভার গ্রহন করেন। সর্বশেষ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম তদন্ত শেষে আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন বলে জানা গেছে। আদালতে দেয়া এই চার্জশিটে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসামিরা বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এসব সোনা চুরি করেছে। এবং অভিযুক্ত সব আসামিকে আটক দেখানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরোও জানাতে নিচে: যশোরের বেনাপোল কাস্টমসের স্বর্ণ চুরির মামলার আসামিকে জামিন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password