সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের ৭৩ কোটি ৬ লক্ষ নারী শারীরিক এবং মানসিক ভাবে পুরুষের নির্যাতনের শিকার। এর মধ্যে যেমন রয়েছে গৃহস্থ হিংসা তেমনই রয়েছে যৌন অত্যাচার। প্রতি মুহুর্তে সারা পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তে প্রতি ৩ জন মহিলার মধ্যে ১ জন এই অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। দুজনের সম্মতি ছাড়া কোনো রকম যৌন সম্পর্ক স্থাপন যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত এবং ধর্ষণ বলেও গণ্য করা হয় এই ধরনের অপরাধকে।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর একটি সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা দাবি করে বলেছেন যে, সারা বিশ্বে প্রতি তিন জন নারীর মধ্যে একজন তাদের জীবদ্দশাতেই যৌন অত্যাচারের শিকার হন। সেটা তার সঙ্গীর কাছ থেকে হোক বা অন্য কারো থেকে। যুগ পাল্টালেও নারীদের উপর এই যৌন হয়রানির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ধরনের শারীরিক অত্যাচারের ঘটনা গুলি ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। বিশেষ করে যারা টিনেজার গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। আর এক্ষেত্রে যে সমস্ত মহিলারা কোনো সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন তারা না চাইলেও পুরুষ সঙ্গীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
দরিদ্র দেশ গুলিতে বসবাসকারী প্রায় ৩৭ শতাংশ নারীরা তাদের জীবদ্দশাতেই সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখানে শুধু নিজের বাড়ির লোক বা স্বামী নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই যৌন নিপীড়নের ঘটনা অন্যদের দ্বারাও হয়েছে।
এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রস অ্যাধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশ, সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। যার শিকার হন মহিলারা। করোনা মহামারীর সময় যেটি সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই সময় দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় গৃহবন্দীর সুবাদে বাড়ির মেয়ে বউদের উপর বেড়েছে গার্হস্থ্য হিংসার মাত্রা। তবে এই বিষয়ে নারীদের সুরক্ষিত রাখতে সবার আগে আমাদের সবাইকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এই ধরনের ঘৃণ্য বর্বরোচিত অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। তবেই সমাজে নারীর মর্যাদা বাড়বে।
সূত্র: বিবিসি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন