রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সেই তরুণীর বড় বোন। ঘটনার পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় থানায় একটি ফোন আসে। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার তিন তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরে সোমবার রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। কুমিল্লা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের মেয়ে মুনিয়া। মুনিয়ার পরিবার কুমিল্লায় থাকলেও মুনিয়া একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন।
সুদীপ কুমার আরও জানান, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে মোসারাত জাহান মুনিয়ার পরিচয় ছিল। মুনিয়ার ফ্ল্যাটে তার যাতায়াতের বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে। মুনিয়ার বড় বোনের অভিযোগ, ভিকটিমের সঙ্গে ওই শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচয় এবং সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য ঘটে। পরবর্তীতে মুনিয়া কুমিল্লা চলে যান। পরে কুমিল্লা থেকে পুনরায় ঢাকায় আসেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মুনিয়া তার বোনকে ফোন করে জানান, তার জীবনে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।
সুদীপ আরও জানান, যদি সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় যে, অভিযুক্ত দোষী, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে যে ব্যবস্থা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্ত নিয়ে ওসি বলেন, আমরা মামলাটিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটাই করা হবে। থানার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিনিই এই তদন্তের ভার নিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন