ফিলিস্তিনে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সকলকে ভিডিও যুদ্ধের আহ্বান

ফিলিস্তিনে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সকলকে ভিডিও যুদ্ধের আহ্বান
MostPlay

ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। অথচ মুসলিম বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কেন? কেন নিশ্চুপ তারা। অন্য দিকে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেন আর ইসরায়েল নেতনিয়াহু ঘোষনা দিলেন গাজার উপর হামলা অব্যাহত চলতেই থাকবে।

আশ্চর্যের ব্যাপার, অ্যামেরিকা যদি এই ঘোষণা দিতে পারে, তাহলে সৌদি সরকার কি করছে? ধ্যাণে বসেছে নির্ঝুম দ্বীপে  গিয়ে? ওআইসি কি করছে? পরিকল্পনা করতেছে সম্মেলন ডাকবে সমঝোতা করার? সমঝোতাই কখন আসবে তারা। বুঝছি। 

যখন হাজারো মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।  যখন ফিলিস্তিনের বাতাসে রক্ত আর বারুদমাখা ঘন্ধ তীব্র থেকে আরও দুর্গন্ধময় হবে, ঠিক তখনই এগিয়ে আসবেন আমাদের ইসলামের প্রিয় খাদেমগন।

ছিঃ ধিক্কার জানায়। ভীরু, কাপুরুষের দল সব। শয়তানের মগজ খেকো নামধারী মুসলমান। ছিঃ ছিঃ ছিঃ

বুক ফেটে কান্না আসে যখন, ইসরায়েলি   (রক্ত পিশাচরা) কনফারেন্সে ব্যাখ্যা করে এই বলে যে, "গাজা পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ একটি শহর। তার মধ্যে  ৮০০০০০ শিশু । আর তারা স্কুলে যায় ঠিক সকাল ১১.২৫ টার সময়"। 

হত্যাকারী তখনই বলে উটে That is the moment to Attack.  ছিঃ কতবড় নোংরা মানষিকতা। শিশু হত্যায়  তোদের টার্গেট?  শয়তান। কত্ত বড় শয়তান। বাচ্চারা কি করেছে তোর। একটি বাচ্চা যখন জন্ম নেয় তখন কি ওর শরীরের কোথাও লেখা থাকে, সে মুসলিম নাকি ইহুদী। কোথাও কি কোন জাতের চিহ্ন দেওয়া থাকে, সে ইসরায়েলি নাকি ফিলিস্তিনি। 

ও আচ্ছা, কথা হচ্ছে তার অপরাধ সে একজন মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছে। তারপরেও আবার সেটা ফিলিস্তিনের কোন মুসলিম পরিবারে। এরপরেও মুসলিম বিশ্ব চুপ মেরে ঝিম ধরে বসে আছে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ।  হাজার বার ছিঃ।

টেররিজম দমনের নামে মুসলমান হত্যাই হচ্ছে ওদের মুল লক্ষ্য। মুলত টেররিজম তো নেতানিয়াহু ও তার ইসরায়েল বাহিনি করছে। আর যারা এটাকে সমর্থন করছে তারাও টেররিজম আওতায় পড়ে নিঃসন্দেহে। তবে মুসলিম বিশ্ব যদি এখনও চুপ থাকে তাহলে অনেক পস্তাতে হবে।

আর মানবাধিকার নিয়ে যারা এত লাফালাফি করে, তারা আজ কোথায়। কেথায় আজ তারা। মুসলমানের বেলায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘুমিয়ে থাকে। ছিঃ।

বিশ্বে কতগুলি মুসলিম রাষ্ট্র আছে? সব মুসলিম রাষ্ট্র থেকে স্বেচ্ছাই যে সকল সৈনিক যুদ্ধের ময়দানে অংশ নিতে চাই সবাইকে ফিলিস্তিনে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

আমার মনে হয় যদি এমনটি হয়, তাহলে আর দ্বিতীয় কোনদিন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব থাকবে না। গাজায় আর কোন মায়ের বুক খালি হবে না। কারন ইসরায়েল নামক কোন জাতিই থাকবে না। আর যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলি সেনাবাহিনী না পাঠাই, তাহলে সকল মুসলিম রাষ্ট্রে ঘোষণা করে দিক কারা কারা যুদ্ধে যেতে চাই,

আমার বিশ্বাস বিপ্লব ঘটে যাবে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম যুবক কলিজা বের করে দৌড়ে আসবে যোগদান দিতে। আর যদি সকল যুবককে পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে বিনা অস্ত্রেই ইসরায়েলিদের ধূলিস্যাৎ হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

ভাইয়েরা আমার, বোনেরা আমার। নিতান্তই বুক ফাঁটা কষ্ট আর কান্নার চিৎকার নিয়ে আপনাদের সকলের কাছে আরজি পেশ করছি, করছি মিনতিঃ আপনারা যে যেখানে আছেন, যে অবস্থায় আছেন, আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করার সাথে সাথে হুংকার তুলুন।

আপনার ফেসবুকে, টুইটারে, ইনস্টাগ্রামে, ইউটিউবসহ সকল যাবতীয় সোস্যাল মিডিয়ায়। হুংকার তুলুন আমরা মুসলিম জাতি সকলেই ঝাপিয়ে পড়বো ইসরায়েলি নরপিশাচদের উপর। শুধু স্টাটাস দিয়ে নয়। লেখা কোন বার্তা দিয়ে নয়।

বরং যেটা স্টাটাসে লিখবেন সেটি নিজের  মুখে হুংকার দিয়ে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে দিন। আজ সুযোগ এসেছে যুদ্ধের ময়দানে শহীদের মর্যাদা হাসিলের, নয়তো গাজী হয়ে সম্মানিত হওয়ার।

বিশ্বের সব মুসলিম ভাই, সকল মুসলিম বোন, মাত্র একটি করে ভিডিও হুংকার দেয়, ইসরায়েল থরথরিয়ে কাপতে সময় লাগবে না।

#This_is_the_time_to_attend_war_at_GAZA
#Time_to_Fight_with_Israel 
#Vanish_Israel.

হে মুসলমান। জেগে উঠুন। এখন থেকেই শুরু হলো যুদ্ধ। 
হুংকার তুলুন এখনই।

আল্লাহ কবুল করুন।
আমিন।

ওবায়দুর রহমান

সম্পাদকীয়। 

বিডি টাইপ নিউজ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password