রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা কাফনের কাপড় পরে রাস্তায়

রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা কাফনের কাপড় পরে রাস্তায়

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ‘রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত’ লোকজনের চাকরি নিশ্চিতসহ অধিকার আদায়ের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সভা ও মানববন্ধন করা হয়েছে।রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকায় ‘অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের নিয়ে শান্তিপূর্ণ এ প্রতিবাদ কর্মসূচি চালায়। এ সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চেক করে এনজিওকর্মীদের নামিয়ে নেয়া হয়। তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকতে দেননি বিক্ষোভকারীরা।

বিষয়টি মীমাংসা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক চলছে।বিক্ষোভকারী সূত্র জানায়, এমএসএফসহ কয়েকটি এনজিও সংস্থা স্থানীয়দের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দিয়েছে। চার-পাঁচ মাস ধরে স্থানীয়রা বিষয়টি শরণার্থী কমিশনার কার্যালয়, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানিয়ে আবেদন জানিয়েছিল।

ওই সময় তাদের চাকরিসহ নানা অধিকার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রশাসনসহ এনজিও সংস্থাগুলো দাবি বাস্তবায়ন না করায় এ আন্দোলন বলে উল্লেখ করেন বিক্ষোভকারীরা।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক গফুর উদ্দিন চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়রা। এদের মাঝে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার পালংখালী-রাজাপালং ইউনিয়নের লোকজন। সে হিসেবে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করা এনজিওতে ক্ষতিগ্রস্তরা চাকরি পাওয়ার দাবিদার।

কিন্তু অনেক এনজিও স্থানীয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে বহিরাগত ও রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা। নিজেদের জীবনমান সচল রাখতে এবং এনজিওগুলোর বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে স্থানীয়রা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে এসেছি। পুরোনো বিষয়গুলো জানা ছিল না। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। আশা করি ফলপ্রসূ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password