রাজধানীর শ্যামলীতে অভিযান চলিয়ে দেড় কোটি টাকার অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করেছে ওষধ প্রশাসন অধিদফতর। এ অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। কারখানা মালিককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এনএসআইয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও ওষধ প্রশাসন এ যৌথ অভিযান চালায়।
ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ট্যাবলেট তৈরি হয় একই ঘরে একই জায়গাতে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ছড়াছড়ি সেখানে। নেই কোনো ফার্মাসিস্ট, নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলও। তবু হরদম চলছে ওষুধ উৎপাদন। শ্যামলীর দুটি ভবনে পাঁচটি ফ্লাটে বছরের পর বছর চলছে এ কার্যক্রম।
ফোর এস, এ্যারিস্টন ফার্মা, এ্যারিস্ট লিমিটেড নামে চলছে ওষুধের রমরমা ব্যবসা।
এরআগেও ফোর এস লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করেছিলো ওষুধ প্রশাসন। এরপর সাভারের কারখানা দেখিয়ে আবার নতুন করে নবায়ন পেলেও ওষুধ তৈরি হতো নিজ বাড়িতেই।
অভিযুক্ত একে এম সিরাজুল হক বলেন, আমি যখন লাইসেন্সের জন্য রিনিউ করছি, বার বার তখন শিপ্টিং ছিল। শিপ্টিং হওয়ার কারণে আমি কিছু মেশিনপত্র নিয়ে এসে আমার এখানে (বাসা) তুলি। কারণ আমার আর কোনো জায়গা ছিল না বলেই তুলেছি।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট, কসমেটিক্স প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছিল এসব কোম্পানি।
ওষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি ছাড়াও আরও দুটি টিম কাজ করছে। সেখানেও বিপুল পরিমাণ ওষুধ পাওয়া গেছে। তার কোনোটাই রেজিস্টার্ড ছিল না। প্রতিটি ওষুধ অবৈধ।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসেন বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে, থাকবে।
ভুঁইফোড় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন