২০ বিঘা জমির আমবাগান কেটে উজাড়

২০ বিঘা জমির আমবাগান কেটে উজাড়

যশোরের ঝিকরগাছায় ২০ বিঘা জমির আম গাছ কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৮ জন চাষি। উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের খরুষা গ্রামে গত বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) জানাজানি হয়েছে।এ ঘটনায় খরুষা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি দিপু আহম্মেদ অন‌্যদের পক্ষে ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েক বছর ধরে চাষিরা ধান-পাটে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে আম চাষে ঝুঁকেছেন। ওই গ্রামের মাঠে অসংখ্য আমবাগান গড়ে উঠেছে। আমচাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে চাষিরা মাঠে গিয়ে দেখতে পান দিপু আহম্মেদ, আতাউর রহমান, ফজলুর রহমান, আব্দুল মালেক, আব্দুল খালেক, মনিরুল, মশিয়ার, তাহাজ্জত হোসেনসহ আরও অনেক চাষির আমগাছ কে বা কারা গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি টাকা। 

অভিযোগের পর শিওরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা এলাকা পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে বলে জানান তিনি। ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এদিকে, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর দুদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ অভিযোগটি রের্কড না করায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কী কারণে পুলিশ মামলা রেকর্ড করছে না তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ‌্যে অনেকে নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করেছেন আম চাষে। তারা এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ধান-পাট চাষ করে খরচের দামই ওঠে না। চাষ কাজে যে পরিশ্রম, খরচ তার কোনটাই উঠে আসে না। নায‌্য দাম না পেয়ে তাই কৃষকরা আম চাষে ঝুঁকেছেন। তাতেও হামলা চালিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এ যেনো মরার ওপর খাড়ার ঘা। দোষিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এদিকে মামলা রেকর্ডে গড়িমসির কারণ হিসেবে ঝিকরগাছা থানার ওসি জানান, অভিযোগে কারও নাম না থাকায় তিনি মামলা রেকর্ড করতে পারছেন না। নাম দিলে মামলা রেকর্ড করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password