তুরস্কে মায়ের সঙ্গে দুই শিশুকে জেলে পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি ইলিয়াদা টেকোজ (৩২) নামে একজন শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের পর তার দুই শিশুকেও জেলে পাঠানো হয়েছে। যাদের একজনের বয়স দেড় আরেকজনের বয়স চার বছর।
আটক ওই শিক্ষিকা তুরস্কের একটি মানবাধিকার সংস্থায় কাজ করতেন বলেও জানা গেছে।মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, গত কয়েক দিন আগে তুরস্কের একটি কারাগারের সামনে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় ইলিয়াদার সঙ্গে তার দুই শিশুর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
তুরস্কের কুর্দিপন্থী পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য ওমর ফারুক ওলু এ নিয়ে এরদোগান সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইলিয়াদা এবং তার দুই শিশু ছাড়াও তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে এখনও ৮০০ শিশুকে আটক করে রাখা হয়েছে; যা সরাসরি সংবিধানবিরোধী কাজ।
ওলু আরও বলেন, যেসব নারীর দেড় বছরের শিশু রয়েছে, তারা কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলে সংবিধানে তাদের শাস্তি মওকুফ করার কথা থাকলেও এরদোগানের স্বেচ্ছাচারী প্রশাসন এসবের কোনো পরোয়া করছেন না। এরদোগান সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তুরস্কের জনগণকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ইলিয়াদাকে গত সপ্তাহে তুরস্কের পুলিশ নির্বাসিত তুর্কি প্রচারক ফেতুল্লাহ গুলেনের দলে যোগ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে।তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সরকারকে একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
ইলিয়াদার স্বামী হাসান টেকোজকে প্রায় এক বছর আগে একই অভিযোগে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন