তিন দিনের সরকারি ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটন বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখন লোকে লোকারণ্য। হোটের মোটেল ছাড়াও শহরের পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসাও জমজমাট। সরজমিনে দেখা যায়, ১০ মাসের অধিক সময় ধরে করোনা মহামারির কারণে ঘরবন্দি জীবন কাটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ এখন পাহাড় আর হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙ্গামাটি ছুটে আসছেন।
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঝুলন্ত সেতু ছাড়াও রাঙ্গামাটিতে পর্যটনের আকর্ষণীয় স্পটের মধ্যে শুভলং ঝর্ণা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাদুঘর, ডিসি বাংলো পলওয়েল পার্ক, কাপ্তাই লেক, পেদাটিংটিং, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ কাপ্তাই লেকের পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
এছাড়া রাঙ্গামাটি শহরে সেনাবাহিনী পরিচালিত আরণ্যক হলিডে রিসোর্টে দৃষ্টিনন্দন ওয়াটার পার্ক ‘হ্যাপি আইল্যান্ড’ রয়েছে। তবে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতু ঘিরেই। আর পর্যটকদের ভিড়ে পর্যটন স্পটগুলোতে মৌসুমী ফলের ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসাও জমে উঠেছে। ফলে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রাণহীন এলাকাগুলোতে সাময়িকভাবে চাঙা হয়ে উঠেছে অর্থনীতি।
রাঙ্গামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘তিন দিনের টানা ছুটিতে এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। এছাড়াও ছুটির দিনেও পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। শীত মৌসুমের শেষ দিকে ভালো সারা পাচ্ছি আমরা। আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকায় প্রতিটি হোটেল-মোটেল পরিপূর্ণ পর্যটকে।’
পর্যটন টুরিস্ট বোট মালিক সমিতিসহ সভাপতি মো. রমজান আলী জানান, দীর্ঘদিন করোনা ভাইরাসের পর এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের আগমন বাড়াতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটির সরকারি পর্যটন মোটেলের শতভাগ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। শহরের অন্যান্য আবাসিক হোটেলেও একই অবস্থা। আর করোনার কারণে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর পর্যটন স্পটগুলো আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে পর্যটন স্পটগুলো সংস্কার করে যুগোপযোগী করা গেলে পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যাবে বলে মনে করেন পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন