অনেক কিছুই নেই উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে

অনেক কিছুই নেই উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে

তিন হাজারের বেশি প্লট নিয়ে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরটি সবচেয়ে বড় সেক্টর। অথচ এই সেক্টরে নেই কোনো পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টারসহ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। কবরস্থান থাকার কথা ছিল সেটাও নেই। সেক্টরের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ বস্তির কারণে নিরাপত্তাব্যবস্থাও নাজুক। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল গতকাল শুক্রবার। সভায় সেক্টরের স্থায়ী বাসিন্দারা এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সমিতির নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

সমিতির ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম। তাতে বলা হয়, খেলার মাঠ, পার্ক, কমিউনিটি সেন্টারের জন্য একটুকরো জমি বরাদ্দ দেওয়া নেই, অথচ এই সেক্টর ভিআইপি সেক্টর হিসেবে পরিচিত। লে-আউট পরিকল্পনায় কবরস্থানের জায়গা দেখানো আছে, কিন্তু বর্তমানে সে জায়গার কম অংশই বিদ্যমান।

সভায় জানানো হয়, ২০১৩ সালে সমিতির সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকার। বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬১৫ টাকা। সমিতির আগামী কয়েকটি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি সড়কের শেষ মাথায় ফটক নির্মাণ করা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো, দুই জায়গায় পুলিশ বক্স স্থাপন, সেক্টরের রানাভোলা সড়কের বস্তি, গ্যারেজ উচ্ছেদ করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা সমিতির নামে বরাদ্দ নেওয়া অন্যতম।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে সমিতির সহসভাপতি ইনসাফ আলী বলেন, সেক্টরের বিভিন্ন সড়কের বাড়ির সামনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়। কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, গ্যারেজ সড়ক দখল করে রাখে। ১ নম্বর সড়কের হাঁটাপথের পশ্চিম পাশে রয়েছে বস্তি ও অবৈধ দোকানপাট।
আলোচনা পর্বে সমিতির একাধিক সদস্য বলেন, উত্তরার অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় ১০ নম্বর সেক্টরের সড়কগুলো তুলনামূলক অপ্রশস্ত। রানাভোলা সড়কে গড়ে উঠেছে বাঁশপট্টি। অথচ সেখানে নেই কোনো সড়কবাতি। ফলে রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সড়কগুলোতে ইট, পাথর, বালু রেখে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সভায় সেক্টরের সদস্যদের ছবিসংবলিত উদয় নামের একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। স্মরণিকায় সেক্টরের বাসিন্দা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার লিখেছেন, ‘বসবাসের জন্য যে স্বপ্ন নিয়ে উত্তরায় এসেছিলাম, তা পুরোই ভেস্তে গেছে। যানজটে উত্তরার ভেতরে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নেই সরকারি হাসপাতাল। সবাই মিলে বর্তমানের যন্ত্রণাটুকু দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বর্তমান সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ, সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password